পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে রাজশাহীতে ভগ্নিপতিকে কুপিয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। 

শনিবার (১৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের সামনে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. এনামুল (৫৫)। তিনি রাজশাহী নগরেরশাহমখদুম থানার ভুগরইল এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের শিকার রুহুল আমিন (৩৮) তার ভগ্নিপতি। র‌্যাব-৫ এর রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের একটি দল এনামুলকে গ্রেপ্তার করে।

রবিবার (২০ এপ্রিল) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানিয়েছে, মামলার দ্বিতীয় আসামি এনামুলকে গ্রেপ্তারে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি চলছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তারের পর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ রুহুল আমিনের স্ত্রী শারমিন সুলতানার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমিজমা ভাগাভাগি নিয়ে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়ার একপর্যায়ে আসামি এনামুল রুহুলকে চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারেন। এসময় তার ভাই আমিনুল ইসলাম ওরফে মিন্টু তাঁর ডান হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দিয়ে রুহুল আমিনের গলার বাঁ পাশে কোপ দিলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহত রুহুল আমিনের বাবা বাদী হয়ে নগরের শাহমখদুম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ২৪ মার্চ রাজশাহীর এয়ারপোর্ট থানার পালপাড়া এলাকা থেকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি আমিনুল ইসলাম ওরফে মিন্টু–কে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

ঢাকা/কেয়া/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র প ত র কর র হ ল আম ন

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ