ফিলিস্তিনি জরুরি সেবা কর্মীদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যার ঘটনাকে ‘ভুল’ বলে দায় এড়িয়ে গেছে ইসরায়েল। রবিবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) প্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদনে এই দায় এড়ানো হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ‘ভুল বোঝাবুঝি’ এবং ‘নির্দেশ লঙ্ঘনের’ কারণে গত মাসে গাজায় ১৫ জন জরুরি কর্মী নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এই ঘটনার তদন্তে বেশ কিছু ব্যর্থতা পাওয়া গেছে। ‘তদন্তের সময় অসম্পূর্ণ এবং ভুল প্রতিবেদন প্রদানের জন্য’ জড়িত ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
২৩ মার্চ ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (পিআরসিএস) অ্যাম্বুলেন্স, জাতিসংঘের একটি গাড়ি এবং একটি দমকলের ট্রাকের কনভয়ে থাকা ১৪ জন জরুরি কর্মী এবং একজন জাতিসংঘ কর্মীকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। হত্যাকাণ্ডের পর লাশ ও অ্যাম্বুলেন্স দুটি মাটিচাপা দেয় ইসরায়েলি সেনারা। এ ঘটনার এক সপ্তাহ পরে জাতিসংঘের কর্মীরা এই লাশগুলো উদ্ধার করে।
এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানিয়েছে, তাদের সেনারা শত্রু বাহিনীর হুমকির সম্মুখীন হয়েছে ভেবে গুলি চালিয়েছে। তাদের তদন্তে দেখা গেছে যে নিহতদের মধ্যে ছয়জন হামাস সদস্য ছিলেন।
তবে নিহতদের নাম সরকারি ওয়েবসাইটেই রয়েছে। তাদের সঙ্গে হামাসের সাথে কোনো সম্পৃক্ততার প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।
রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।
অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা।
বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো।
বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া।
আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না।
বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’
বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা।
উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।
ঢাকা/টিপু