Risingbd:
2025-11-04@04:34:52 GMT

‘ভুল’ বলে দায় এড়ালো ইসরায়েল

Published: 20th, April 2025 GMT

‘ভুল’ বলে দায় এড়ালো ইসরায়েল

ফিলিস্তিনি জরুরি সেবা কর্মীদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যার ঘটনাকে ‘ভুল’ বলে দায় এড়িয়ে গেছে ইসরায়েল। রবিবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) প্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদনে এই দায় এড়ানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ‘ভুল বোঝাবুঝি’ এবং ‘নির্দেশ লঙ্ঘনের’ কারণে গত মাসে গাজায় ১৫ জন জরুরি কর্মী নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এই ঘটনার তদন্তে বেশ কিছু ব্যর্থতা পাওয়া গেছে। ‘তদন্তের সময় অসম্পূর্ণ এবং ভুল প্রতিবেদন প্রদানের জন্য’ জড়িত ইউনিটের ডেপুটি কমান্ডারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

২৩ মার্চ ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (পিআরসিএস) অ্যাম্বুলেন্স, জাতিসংঘের একটি গাড়ি এবং একটি দমকলের ট্রাকের কনভয়ে থাকা ১৪ জন জরুরি কর্মী এবং একজন জাতিসংঘ কর্মীকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। হত্যাকাণ্ডের পর লাশ ও অ্যাম্বুলেন্স দুটি মাটিচাপা দেয় ইসরায়েলি সেনারা। এ ঘটনার এক সপ্তাহ পরে জাতিসংঘের কর্মীরা এই লাশগুলো উদ্ধার করে।

এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানিয়েছে, তাদের সেনারা শত্রু বাহিনীর হুমকির সম্মুখীন হয়েছে ভেবে গুলি চালিয়েছে। তাদের তদন্তে দেখা গেছে যে নিহতদের মধ্যে ছয়জন হামাস সদস্য ছিলেন।

তবে নিহতদের নাম সরকারি ওয়েবসাইটেই রয়েছে। তাদের সঙ্গে হামাসের সাথে কোনো সম্পৃক্ততার প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

ফোনে খালেদা জিয়া বললেন, ‘ভাই, জিয়াকে ড্রয়িংরুমে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’

৭৫-এর উত্তপ্ত নভেম্বর

শেখ মুজিব হত্যার পর বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ছিল দ্বিধাগ্রস্ত এবং দেশ প্রতিদিন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এদিকে খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা সর্বজনাব নজরুল ইসলাম তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও আবদুস সামাদ আজাদকে আটক করেন এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করে রাখেন। বাতাসে প্রতিনিয়ত নানা গুজব উড়ছিল ও সাধারণ নাগরিকগণ ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। সেনানিবাসেও অস্থিরতা বিরাজ করছিল এবং ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে, নিজেদের মধ্যে যে-কোনো সময়ে সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আর্মিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি ছিল।

পদাতিক বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে ঢাকা ব্রিগেডের ১ম, ২য় ও ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসারগণ মেজর ফারুক, রশিদ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছিল এবং আর্মির চেইন অফ কমান্ড পুনঃস্থাপনের জন্য তৎকালীন ব্রিগেড অধিনায়ক কর্নেল শাফায়াত জামিলও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তাঁর অধীনস্থ অফিসার ও সৈন্যগণই তাঁর সার্বিক কর্তৃত্ব উপেক্ষা করে শেখ মুজিব হত্যায় জড়িত ছিল। এ পরিস্থিতিতে সেনাসদরে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফও সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা বলে উত্তেজিত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।

মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.) বীরবিক্রম

সম্পর্কিত নিবন্ধ