৬ ম্যাচে ৮৪ করা রোহিতের ব্যাটে এক ম্যাচেই ৭৬ রান
Published: 20th, April 2025 GMT
আইপিএলে ৬ ম্যাচে ৮৪ রান। ‘সুপার ফ্লপ’ রোহিত শর্মাকে দেখে ভারতের সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান বীরেন্দর শেবাগ বলেছিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিজয়ী ভারত অধিনায়কের অবসরের সময় এসে গেছে।
শেবাগের কথাই কী তাঁতিয়ে দিল রোহিতকে! এরপর প্রথমবার খেলতে নেমেই যে দারুণ এক ফিফটি পেয়ে গেলেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ওপেনার। প্রথম ছয় ম্যাচের রান একদিনেই প্রায় করে ফেললেন রোহিত। ৪৫ বলে ৪ চার ও ৬ ছক্কায় ৭৬ রান করেছেন ৩৭ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। আর তাতে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ক্রিকেটের ক্লাসিকোতে চেন্নাই সুপার কিংসকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে রোহিতের মুম্বাই।
রবীন্দ্র জাদেজা (৩৫ বলে অপরাজিত ৫৩) ও শিবম দুবের (৩২ বলে ৫০) দুই ফিফটিতে ভর করে ৫ উইকেটে ১৭৬ রান তুলেছিল চেন্নাই। রানটা ২৬ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে অষ্টম ম্যাচে চতুর্থ জয় পেয়েছে মুম্বাই। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা ৮ পয়েন্ট নিয়ে আছে ছয়ে। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ষষ্ঠ হারের দেখা পাওয়া আরেক পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই আছে দশ দশের মধ্যে দশে।
রান তাড়ায় রায়ান রিকেলটনকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৬.
রোহিতের মতো সূর্যকুমারও ফিরেছেন এবারের আইপিএল নিজের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলে। ৩০ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৮ রান করেছেন ‘স্কাই’।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’