দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক শুভেচ্ছাদূত এবং মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের (অর্থ পাচার) অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। এই অভিযোগ অনুসন্ধানে ৯ এপ্রিল দুদক দুই সদস্যের একটি দল গঠন করে।

দুদকের উপপরিচালক মাহবুবুল আলমকে অনুসন্ধান দলের প্রধান করা হয়েছে। দলের অপর সদস্য হলেন সহকারী পরিচালক মো.

আশিকুর রহমান। তাঁদের অভিযোগটি অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম অনুসন্ধান শুরুর বিষয়টি জানালেও এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেননি।

আরও পড়ুনআমার সম্পত্তি যেভাবে ক্রোক করা হয়েছে, সেটাকে স্বাভাবিক মনে করি না: সাকিব১৬ এপ্রিল ২০২৫

তবে দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে তাঁর বিষয়ে কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে।

৬ এপ্রিল সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে নানা ‘অনিয়ম-দুর্নীতির’ অভিযোগ অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে বলে জানিয়েছিলেন দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।

দুদকের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ২০১৮ সালে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে চুক্তি হয় সংস্থাটির। এ ছাড়া হটলাইন-১০৬ উদ্বোধনকালেও তাঁর সঙ্গে কাজ করে দুদক। বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠলে ২০২২ সালে সাকিবকে আর শুভেচ্ছাদূত না রাখার কথা জানিয়েছিল দুদক।

গত বছর আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সাকিব আল হাসান আর দেশে ফিরতে পারেননি।

আরও পড়ুন১৮ বছর নাকি ৬ মাস, কোনটা দেখে আমাকে বিচার করবেন তা আপনাদের ইচ্ছা: সাকিব আল হাসান১৬ এপ্রিল ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ক ব আল হ স ন

এছাড়াও পড়ুন:

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে হঠাৎ দুদকের অভিযান

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রধান কার্যালয়ে আজ রোববার হঠাৎ অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইপিবির আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে ডলারে ঘুষ নিয়েছেন সংস্থাটির এক উপপরিচালক, এমন অভিযোগে ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোয় ‘ডলারে ঘুষ নেন ইপিবির এক কর্মকর্তা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঘটনা তদন্ত করতে এরপর তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ইপিবি। কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা ওঠে আসে।

তবে এক বছরের বেশি সময় পার হলেও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ইপিবি। দুদক সম্প্রতি এ বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য একটি দল গঠন করে এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আমলে নিয়েই দুদক আজ অভিযান পরিচালনা করেছে বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের এক উপপরিচালকের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ ছিল। এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই দুদকের তিন সদস্যের একটি দল আমাদের কার্যালয়ে আসে। আমরা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করেছি। বিষয়টি অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে।’

ইপিবি গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইপিবির অনুমোদন ছাড়া ১৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জামানত বাবদ ১৫০ ডলার করে নেওয়া ঠিক হয়নি।’ আরও বলা হয়, চীনের কুনমিংয়ে ২০২৩ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত একটি মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে জামানত নেওয়া হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া।

দুদকের সূত্রগুলো বলছে, ২০১৭ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পরিমাণের পে–অর্ডার দিয়েছেন মেলায় অংশগ্রহণকারীরা, ইপিবির এক উপপরিচালক আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এত দিন সেগুলো নিজের জিম্মায় রেখে দিয়েছিলেন। দুদক সরেজমিন ইপিবি কার্যালয়ে এসে পে-অর্ডারগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করেছে, তবে কিছু উদ্ধার হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে হঠাৎ দুদকের অভিযান