খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) কর আদায় শাখার নিম্নমান সহকারী রবিউল আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২১ এপ্রিল) কেসিসির সচিব শরীফ আসিফ রহমানের স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।

খুলনায় আওয়ামী লীগের মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে সোমবার দুপুরে নগর ভবনের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরো পড়ুন:

মুক্তিপণসহ আটক আরএমপির ৫ পুলিশ বরখাস্ত

রিকশাচালককে জুতাপেটা করা সমাজসেবা কর্মকর্তা বরখাস্ত

কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম বলেন, ‍“রবিউল আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।”

গ্রেপ্তার রবিউল আলম ডুমুরিয়ার খর্ণিয়া গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে। তিনি কেসিসির যানবাহন শাখার লাইসেন্স অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর তাকে কর আদায় শাখায় বদলি করা হয়।

অফিস আদেশ উল্লেখ করা হয়, কেসিসির কর্মকর্তা ও কর্মচারী চাকুরী বিধিমালা ১৯৯৩ এর ৩৭(২) অনুসারে কোনো কর্মচারী সরাসরি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ বা রাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থি কোনো কার্যকলাপে জড়িত থাকতে পারবে না।

এমতাবস্থায়, কেসিসির চাকুরী বিধিমালা ১৯৯৩ এর ৩৭(২) ও ৩৮ (ছ) বিধি লংঘন করায় ৪৪(৪) বিধি অনুসারে অভিযুক্ত রবিউল আলমকে তার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এর আগে, আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ায় সোমবার দুপুরে নগর ভবনের সামনে থেকে রবিউলকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে জিরো পয়েন্ট এলাকায় আওয়ামী লীগের মিছিলে অংশ নেন রবেউল। কেসিসির সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেকের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত তিনি।

ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বরখ স ত আওয় ম ল গ বরখ স ত ক আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামের রাউজানে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে যুবদল কর্মী আলমগীর আলমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার যুবক আলমগীর আলমের সহযোগী ছিলেন। গতকাল শনিবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার যুবকের নাম মুহাম্মদ রাজু (২৮)। তিনি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার মৃত নুর নবীর ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে, আলমগীর আলমকে গুলি করার সময় তাঁর পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন মুহাম্মদ রাজু।

গত ২৫ অক্টোবর বিকেলে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চারাবটতল বাজারসংলগ্ন কায়কোবাদ জামে মসজিদের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় আলমকে। এ সময় তাঁর স্ত্রী ও সন্তান পেছনে একটি অটোরিকশায় ছিলেন। পাশের গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন তাঁরা। আলমের বাড়ি পার্শ্ববর্তী ঢালারমুখ এলাকায়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কবরস্থানে লুকিয়ে থাকা আটজন অস্ত্রধারী আলমকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা আলম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অস্ত্রধারীরা তাঁকে হত্যার পর রাঙামাটি সড়ক দিয়ে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে পালিয়ে গেছেন। নিহত আলমের শরীরে পাঁচটি গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়।

রাউজান থানা-পুলিশ জানায়, আলম নিহত হওয়ার দুই দিন পর তাঁর বাবা আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে ২১ জনের নামোল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করে রাউজান থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে রাজুর নাম নেই। তবে ঘটনার তদন্তে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁরা হলেন রাউজান কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ রাসেল খান (৩২) ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রহমতপাড়ার বাসিন্দা ও যুবদল কর্মী মুহাম্মদ হৃদয় (৩০)।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, যখন অস্ত্রধারীরা আলমগীর আলমকে গুলি করার জন্য কবরস্থানে লুকিয়ে ছিলেন, তখন আলমগীর আলমের পেছনে একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন রাজু। তিনি আলমগীরের সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তবে হত্যাকাণ্ডে তাঁর সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। রোববার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অস্ত্র-মাদকসহ বিভিন্ন মামলায় ১২ বছর কারাগারে ছিলেন আলম। তিনি গত বছরের ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম আকবর খন্দকারের অনুসারী হিসেবে পরিচিত তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শেখ রেহানার বিরুদ্ধে করা প্লট দুর্নীতির তিন মামলায় রাজউকের সদস্য খুরশীদ গ্রেপ্তার
  • রাউজানে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তাঁর সহযোগী গ্রেপ্তার