আ. লীগের মিছিলে অংশ নেওয়া কেসিসির কর্মচারী বরখাস্ত
Published: 21st, April 2025 GMT
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) কর আদায় শাখার নিম্নমান সহকারী রবিউল আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) কেসিসির সচিব শরীফ আসিফ রহমানের স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
খুলনায় আওয়ামী লীগের মিছিলে অংশ নেওয়ার অভিযোগে সোমবার দুপুরে নগর ভবনের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরো পড়ুন:
মুক্তিপণসহ আটক আরএমপির ৫ পুলিশ বরখাস্ত
রিকশাচালককে জুতাপেটা করা সমাজসেবা কর্মকর্তা বরখাস্ত
কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম বলেন, “রবিউল আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে।”
গ্রেপ্তার রবিউল আলম ডুমুরিয়ার খর্ণিয়া গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে। তিনি কেসিসির যানবাহন শাখার লাইসেন্স অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর তাকে কর আদায় শাখায় বদলি করা হয়।
অফিস আদেশ উল্লেখ করা হয়, কেসিসির কর্মকর্তা ও কর্মচারী চাকুরী বিধিমালা ১৯৯৩ এর ৩৭(২) অনুসারে কোনো কর্মচারী সরাসরি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ বা রাষ্ট্রের স্বার্থের পরিপন্থি কোনো কার্যকলাপে জড়িত থাকতে পারবে না।
এমতাবস্থায়, কেসিসির চাকুরী বিধিমালা ১৯৯৩ এর ৩৭(২) ও ৩৮ (ছ) বিধি লংঘন করায় ৪৪(৪) বিধি অনুসারে অভিযুক্ত রবিউল আলমকে তার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে, আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়ায় সোমবার দুপুরে নগর ভবনের সামনে থেকে রবিউলকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে জিরো পয়েন্ট এলাকায় আওয়ামী লীগের মিছিলে অংশ নেন রবেউল। কেসিসির সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেকের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত তিনি।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বরখ স ত আওয় ম ল গ বরখ স ত ক আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
৮% জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য হয়, প্রশ্ন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনসহ কোনো সংস্কার কমিশনে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন। তাদের প্রশ্ন, ঐকমত্য কমিশনে কোনো রাজনৈতিক দলকেও প্রশ্ন করতে দেখা গেল না যে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীর কোনো প্রতিনিধি না থাকলে বা তাদের বাদ দিয়ে কীভাবে ঐক্য গঠন হয়।
‘অভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ৮% জনগোষ্ঠীর অবস্থা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন তোলা হয়েছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের লিখিত বক্তব্যে। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) তরুণ রায়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের আগে হোক বা পরে, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে এখনো ৮ শতাংশ শুধু রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার জায়গা। তাদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট হতে দেখা যাচ্ছে না কোনো রাজনৈতিক দলকে। সে ক্ষেত্রে এমন অবস্থা চলমান থাকলে ৮ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতে ভবিষ্যতে নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্র বয়কটের সিদ্ধান্তও নিতে হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরা আক্রান্ত হতে থাকেন। তাৎক্ষণিকভাবে গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে সংখ্যালঘুরা জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলেন। সেই আন্দোলন থেকে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনসহ ৮ দফা দাবি তোলা হয়। সেসব দাবি বাস্তবায়নে তখন অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। কিন্তু গত ১ বছরে ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের আশানুরূপ কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হয়নি।
সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন লিখিত বক্তব্যে আরও উল্লেখ করেছে, বিগত ৫৩ বছরে কোনো সরকারই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি। আগামী দিনের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় ৮ দফার বাস্তবায়ন করতে হবে। ৮ দফা যে দেশের ৮ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রত্যেকের মনের কথা জানান দিতে ২২ আগস্ট ‘জাতীয় সংখ্যালঘু সম্মেলন-২০২৫’ আয়োজন করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের আহ্বায়ক সুস্মিতা কর বলেন, সরকারের ঐকমত্য কমিশনে সংখ্যালঘু প্রতিনিধি নেই। দেশের একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীকে নিয়ে তো ঐকমত্য গঠন হতে পারে না। গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিজেদের অধিকার নিয়ে সচেষ্ট আছে। সংখ্যালঘুদের সব সংগঠন আট দফা দাবিতে একাত্ম। যদি নির্বাচন–পূর্ববর্তী সময়ে সরকার কিংবা রাজনৈতিক দলগুলো থেকে এসব দাবি বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে না দেখা যায়, তাহলে হয়তো সংখ্যালঘুরা ভোট বয়কট লড়তে পারে।
এই সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক সুব্রত বল্লভ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির আদিবাসী সংগঠক সুমন ত্রিপুরা।