অর্থ জালিয়াতি মামলায় নাম জড়ালো ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক মহেশ বাবুর। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২৮ এপ্রিল ডেকে পাঠিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। 

ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, হায়দরাবাদভিত্তিক দুটো রিয়েল এস্টেট কোম্পানির প্রচারে অংশ নেন মহেশ বাবু। এ দুটো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জালিয়াতি, অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা হয়েছে। কোম্পানি দুটো মহেশ বাবুকে ৫.

৯ কোটি রুপি প্রদান করে। এর মধ্যে আড়াই কোটি রুপি নগদ, ৩.৪ কোটি রুপি সরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এই অভিনেতাকে প্রদান করা হয়।

তদন্তকারী দল সন্দেহ করছে, মহেশ বাবুকে নগদ যে অর্থ দেওয়া হয়েছে, তা রিয়েল এস্টেট কোম্পানির জালিয়াতির অর্থ।

আরো পড়ুন:

নায়িকা হিসেবে বড় পর্দায় পা রাখছে মহেশ বাবুর কন্যা?

বিয়ের পর অভিনয়কে বিদায়: নীরবতা ভাঙলেন মহেশ বাবুর শ্যালিকা

অনুমতি ছাড়া বহু প্লট বিক্রি করে কোটি কোটি রুপি হাতিয়ে নিয়েছে কোম্পানি দুটো। রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রাখেনি। মহেশ বাবু এই প্রতারণার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন। তবে তিনি কীভাবে তার পারিশ্রমিক পেয়েছেন তা খতিয়ে দেখছে ইডি।

মহেশ বাবু অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘গুন্তুর করম’। এটি পরিচালনা করেন ত্রিবিক্রম শ্রীনিবাস। গত বছরের ১২ জানুয়ারি মুক্তি পায় এটি। সিনেমাটির কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রে অভিনয় করেন মীনাক্ষী চৌধুরী ও শ্রীলীলা। তাছাড়াও অভিনয় করেন— জগপতি বাবু, জয়রাম, ব্রাহ্মানন্দ, রামায়্যা কৃষ্ণান, প্রকাশ রাজ, রেখা, সুনীল প্রমুখ।

মহেশ বাবুর পরবর্তী সিনেমা পরিচালনা করছেন এস এস রাজামৌলি। আপাতত সিনেমাটির নাম রাখা হয়েছে ‘এসএসএমবি২৯’। আন্তর্জাতিক অ্যাডভেঞ্চার সিনেমা এটি। সিনেমাটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার কোটি রুপির বেশি।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

খামেনিকে হত্যায় সংঘাত বাড়বে না, বরং অবসান ঘটাবে: নেতানিয়াহু

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার আশঙ্কার বিষয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানি শীর্ষ নেতার হত্যায় ‘সংঘাত বাড়বে না, বরং অবসান ঘটাবে’।

তিনি বলেন, ‘ইরানি নেতার হত্যার সম্ভাব্য পরিকল্পনা ইরান ও ইসরায়েল মধ্যকার চলমান সংঘাতকে ‘আরও বাড়িয়ে তুলবে না, বরং সংঘাতের অবসান ঘটাবে’। 

এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহুকে প্রশ্ন করা হয়, খামেনিকে হত্যার লক্ষ্যবস্তু করার চিন্তা আছে কিনা। প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরান দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। ইরান ‘চিরস্থায়ী যুদ্ধ’ চায় এবং ইসরায়েলে পরমাণু যুদ্ধের কিনারায় নিয়ে এসেছে। 

তিনি বলেন, ইসরায়েল এই আগ্রাসন ঠেকাচ্ছে। এটা ঠেকাতে হলে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই হবে। আমরা যা প্রয়োজন, তাই করছি। 

ইরানের সঙ্গে সংঘর্ষে ইসরায়েল বিজয় অর্জন করতে যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সোমবার ইসরায়েলি বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিজয় অর্জনের পথে। এর আগে, তেহরানের আকাশ ‘পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অর্জন’ করার দাবি করেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী কর্মকর্তারা। সেইসঙ্গে, ইরানের মিসাইল লঞ্চার বা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ যন্ত্রের ‘এক-তৃতীয়াংশ ধ্বংস'’করে দেওয়ারও দাবি করেন তারা।

সেই দাবিই পুনর্ব্যক্ত করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের দু'টি লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। পারমাণবিক হুমকি নির্মূল এবং ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি নির্মূল করা।

ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদেরকে ইরান হামলার লক্ষ্যবস্তুে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেন নেতানিয়াহু। বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনের সময় সেখানে উপস্থিত সেনাদের উদ্দেশে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের ধন্যবাদ। সৃষ্টিকর্তার সাহায্যে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো এবং সফল হব। বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত আমরা (যুদ্ধ) চালিয়ে যাব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ