টেকনাফে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গুলিবিদ্ধ যুবক আটক
Published: 22nd, April 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মোহাম্মদ রফিক (২৮) নামের এক যুবক আটক হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পশ্চিম মহেশখালিয়াপাড়ার পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
মোহাম্মদ রফিক টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পশ্চিম মহেশখালিয়াপাড়ার বাসিন্দা আবদুস সালামের ছেলে। পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ রফিকের নেতৃত্বে টেকনাফের পাহাড়ি এলাকায় একটি সন্ত্রাসী বাহিনী সক্রিয় রয়েছে। বাহিনীর সদস্যরা মাদক পাচার, অপহরণ, ডাকাতিসহ নানান ধরনের অপরাধে জড়িত। রফিকের বিরুদ্ধে ১৮টির বেশি মামলাও রয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় পশ্চিম মহেশখালিয়াপাড়ায় এক বসতঘরে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের লোকজনের অবস্থানের খবরে নৌবাহিনী ও পুলিশের একটি যৌথ দল অভিযান চালায়। এ সময় বসতঘরটি ঘিরে ফেললে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন অপরাধীরা। একপর্যায়ে সাত থেকে আটজন দুর্বৃত্ত গুলি ছুড়তে ছুড়তে গহিন পাহাড়ি এলাকার দিকে পালিয়ে যায়। আত্মরক্ষার্থে যৌথ বাহিনীর সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়েন। পালানোর সময় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজনকে আটক করতে সক্ষম হয় যৌথ বাহিনী।
ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আরও বলেন, রফিকের কোমরে গুলি লেগেছে। তাঁকে উদ্ধার করে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা প্রথমে হ্নীলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানের তিনি পুলিশ হেফাজতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অভিযান এখনো অব্যাহত।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব হ ন র সদস ম হ ম মদ
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫