দেশের স্বর্ণবাজারে নজিরবিহীন ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত রয়েছে। মাত্র দুদিনের ব্যবধানে ভরি প্রতি স্বর্ণের দাম প্রায় ১০ হাজার টাকা বেড়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) থেকে পরপর দুদিন দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, ২২ ক্যারেট মানের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ৫ হাজার ৩৪২ টাকা বাড়িয়ে নতুন দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৮ টাকা- যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এই দাম কার্যকর হবে বুধবার থেকে।

এর আগে সোমবার স্বর্ণের দাম বাড়ানোর প্রথম ঘোষণা দেয় বাজুস। ওইদিন ৪ হাজার ৭১৩ টাকা বাড়িয়ে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৭২ হাজার ৫৪৬ টাকা। ফলে দুদিনে মোট মূল্যবৃদ্ধি দাঁড়াল ১০ হাজার ৫৫ টাকা।

বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মো.

মাসুদুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব দেশের বাজারেও পড়েছে। পাশাপাশি ডলার বিনিময় হার ও আমদানি ব্যয় বাড়ার কারণেও এ দাম বাড়ানো হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৫১২ টাকা।

রুপার বাজারে কোনও পরিবর্তন নেই। বর্তমানে ২২ ক্যারেট রুপা বিক্রি হচ্ছে ভরি প্রতি ২ হাজার ৫৭৮ টাকা। ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৪৪৯ টাকা। ১৮ ক্যারেট ২ হাজার ১১১ টাকা। সনাতন পদ্ধতির রুপা ১ হাজার ৫৮৬ টাকা ভরি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স বর ণ র দ ম স বর ণ স বর ণ র দ ম ২২ ক য র ট

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ