এনসিসি ব্যাংকের ফ্রিল্যান্সার অ্যাকাউন্ট চালু
Published: 22nd, April 2025 GMT
ফ্রিল্যান্সারদের সহযোগিতার উদ্দেশ্যে এনসিসি ব্যাংক এনসিসি ফ্রিল্যান্সার অ্যাকাউন্ট চালু করেছে।
সম্প্রতি সিলেটের হবিগঞ্জে দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্টে ব্যাংকের বার্ষিক ব্যবসায়িক সম্মেলনে এনসিসি ফ্রিল্যান্সার অ্যাকাউন্টের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান নূরুন নেওয়াজ সেলিম।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চাকলাদার, পরিচালক সৈয়দ আসিফ নিজাম উদ্দীন, স্বতন্ত্র পরিচালক মীর সাজেদ উল বাসার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শামসুল আরেফিন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নূরুন নেওয়াজ সেলিম বলেন, “এনসিসি ব্যাংক সব ধরনের গ্রাহকের চাহিদা পূরণে এবং দ্রুততম সময়ে সর্বোত্তম ও প্রযুক্তি নির্ভর ব্যাংকিং সেবা প্রদানে অঙ্গীকারাবদ্ধ। এরই ধারাবাহিকতায় এনসিসি ব্যাংক বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে ফ্রিল্যান্সারদের বিভিন্ন সুবিধা প্রদান এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাদেরকে আরো বেশি সম্পৃক্ত করতে নতুন এই প্রোডাক্টের কার্যক্রম শুরু করলো। বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব খোলার সুবিধাসহ নতুন এই সেবার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা দেশের অর্থনীতিতে আরো বেশি অবদান রাখতে পারবে।”
ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শামসুল আরেফিন বলেন, “দেশে প্রায় ৬ লাখ ৫ হাজার ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। যারা প্রযুক্তি খাতে অবদান রেখে চলেছে। যার মাধ্যমে বছরে প্রায় এক বিলিয়ন ইউএসডি সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশের অর্থনীতিতে সংযুক্ত হচ্ছে। প্রতি বছর এই ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দেশের অর্থনীতিতে এই ফ্রিল্যান্সারদের অবদানের কথা চিন্তা করে এবং তাদেরকে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আরো বেশি উদ্বুদ্ধ করার জন্য পারসোনাল লোন এবং ক্রেডিট কার্ডসহ বিভিন্ন সুবিধা সম্বলিত ফ্রিল্যান্সার অ্যাকাউন্ট সেবাটি চালু করা হয়েছে।”
এই ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্টটি ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদা পূরণে এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে তাদেরকে আরো বেশি সম্পৃক্ত করতে সহায়ক হবে বলে তিনি।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানসহ বিভিন্ন শাখার ব্যবস্থাপকরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/সাজ্জাদ/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস থ এনস স
এছাড়াও পড়ুন:
মায়ামির স্বপ্নভঙ্গ, ইতিহাস গড়লো ভ্যানকুভার এফসি
কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের রোমাঞ্চকর সেমিফাইনালে লিওনেল মেসি ও তার দল ইন্টার মায়ামিকে উড়িয়ে দিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে নাম লিখিয়েছে কানাডার ক্লাব ভ্যানকুভার এফসি। বৃহস্পতিবার (বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা), মায়ামির চেইস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে দর্শকদের উপহার দেওয়া হয় গোল, নাটক এবং ৩২টি ফাউলের নাটকীয় এক সন্ধ্যা।
প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে ২-০ গোলে জয় পেয়ে আগেই সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল ভ্যানকুভার। তাই দ্বিতীয় লেগে ইন্টার মায়ামির জন্য লক্ষ্যটা ছিল বেশ কঠিন, কমপক্ষে তিন গোলের ব্যবধানে জয়। কিন্তু সেই লক্ষ্য অধরাই থেকে গেল। উল্টো ৩-১ গোলের হার সইতে হলো ডেভিড বেকহ্যামের মালিকানাধীন দলটিকে। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে উড়েই ফাইনালে উঠে যায় কানাডার ক্লাবটি।
ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ইন্টার মায়ামির জন্য আশা জাগানিয়া ছিল। নবম মিনিটেই মেসি ও সুয়ারেজের দারুণ কম্বিনেশনের ফসল হিসেবে জর্ডি আলবা গোল করে এগিয়ে দেন দলকে। প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলের লিডে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা।
আরো পড়ুন:
দুয়োতে ম্যাচ হেরে কনফাকাফ থেকে বিদায়ের শঙ্কায় মেসিরা
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানালেন মেসি
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে শুরু থেকেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে মাঠে নামে ভ্যানকুভার। ম্যাচের ৫১ মিনিটে ব্রেইন হোয়াইট গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান। এরপর মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে ইন্টার মায়ামির রক্ষণভাগের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যান পেদ্রো ভিতে। এরপর ম্যাচে ফিরে আসার অনেক চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি মেসির দল।
৭১ মিনিটে ভ্যানকুভারের হয়ে তৃতীয় ও শেষ গোলটি করেন সেবাস্তিয়ান বারহেল্টার। যা ম্যাচের নিয়তি নির্ধারণ করে দেয়। এরপর ইন্টার মায়ামি একাধিকবার আক্রমণ করলেও প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক ও শক্ত রক্ষণদেয়াল ভাঙতে ব্যর্থ হয়।
ম্যাচটিতে দুই দলই ১৬টি করে ফাউল করে। যা মিলিয়ে মোট ফাউলের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২। ইন্টার মায়ামি ১৭টি শট নেয়, যার মধ্যে ৬টি ছিল অন টার্গেটে এবং মাত্র একটিই জালে ঠাঁই পায়। অন্যদিকে, ভ্যানকুভারের ১০টি শটের ৬টিই লক্ষ্যে ছিল এবং এর মধ্যে তিনটি জালে জড়ায়।
এই হারের ফলে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের ফাইনালে খেলার স্বপ্নভঙ্গ হলো মেসি-সুয়ারেজদের। আর ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালের টিকিট কাটলো ভ্যানকুভার এফসি।
ঢাকা/আমিনুল