দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং নীতিমালা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এজন্য নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং কাঠামো সংস্কার নীতিমালা ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। নতুন নীতিমালায় বিদেশি বিনিয়োগ আরও উন্মুক্ত করা হয়েছে। আইসিএসপি (ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান) লাইসেন্সে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বিদেশি মালিকানা অনুমোদন করা হবে।
মঙ্গলবার সংস্থাটির ওয়েবসাইটে এই নীতিমালা প্রকাশ করে এ বিষয়ে ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, বিশেষজ্ঞ, বিনিয়োগকারীরাসহ খাত সংশ্লিষ্ট ও সাধারণ জনগণের মতামত চাওয়া হয়েছে।
খসড়া নীতিমালায় তিনটি মূল লাইসেন্স ক্যাটাগরি প্রস্তাব করা হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ের ইন্টারনেট ও টেলিকম সেবা প্রদানকারীদের জন্য দুটি এনলিস্টমেন্ট ক্যাটাগরি প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাব দুটি হলো- স্মল আইএসপি সার্ভিস ও স্মল টেলিকম সার্ভিস। বর্তমানের ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ (আইসিএক্স), ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইডিডব্লিউ) ও ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) লাইসেন্স মেয়াদ শেষে বাতিল হবে। এর ফলে অপারেটরদের মধ্যে সরাসরি সংযোগ প্রতিষ্ঠার সুযোগ তৈরি হবে, সেবার গুণগত মান উন্নত হবে এবং খরচ কমবে।
অন্যদিকে, নতুন লাইসেন্সিং কাঠামো প্রযুক্তি-নিরপেক্ষ হবে। অপারেটররা একই লাইসেন্সের আওতায় একাধিক ধরনের সেবা দিতে পারবে, যেমন- ভয়েস, ডেটা, ইন্টারনেট, ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস ও ওভার-দ্য-টপ (ওটিটি ) ডিজিটাল সার্ভিস।
নীতিমালায় আরও বলেছে, দেশের নিজস্ব কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক (সিডিএন), হাইপারস্কেলার এবং ডেটা সেন্টারগুলোকে উৎসাহিত করার জন্য বিশেষ কানেক্টিভিটি সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ট আরস
এছাড়াও পড়ুন:
আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।
মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।
মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ