সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সুবিপ্রবি) ক্যাম্পাস জেলা শহরের কাছাকাছি স্থাপনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস জেলা সদরে বাস্তবায়ন আন্দোলন। আজ বুধবার বিকেলে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বক্তারা বলেন, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ক্ষমতার অপব্যবহার করে জেলা শহরকে বাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তার উপজেলায় নিজের গ্রামের পাশে নিয়ে গেছেন। এখন তার গ্রামের বিভিন্ন বাসাবাড়ি ভাড়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তার নিজের বাড়ির দলীয় ব্যক্তিগত কার্যালয়ও এই কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই কাজে সহযোগিতার করছেন বর্তমান ভিসি। তাই আমরা ভিসির পদত্যাগসহ দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সুনামগঞ্জ জেলা শহরের আশেপাশে স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগসহ সকল অনিয়ম দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করেন বক্তারা।

সংবাদ সম্মেলনে সূচনা বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলনের সদস্যসচিব মুনাজ্জির হোসেন সুজন। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আহ্বায়ক হুমায়ুন মঞ্জুর চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ মহিবুল ইসলাম, রবিউল লেইস রোকেস, শামসুদ্দিন আহমদ প্রমুখ।

পরে বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলনের ১৫১ সদস্যের জেলা কমিটি ও ১২ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়। এ সময় প্রত্যেক উপজেলায় ১২ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয় কমিটিও ঘোষণা করা হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ পদত য গ পদত য গ র দ ব সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ