সুবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগ ও ক্যাম্পাস স্থানান্তরের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
Published: 23rd, April 2025 GMT
সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সুবিপ্রবি) ক্যাম্পাস জেলা শহরের কাছাকাছি স্থাপনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস জেলা সদরে বাস্তবায়ন আন্দোলন। আজ বুধবার বিকেলে শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ক্ষমতার অপব্যবহার করে জেলা শহরকে বাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় তার উপজেলায় নিজের গ্রামের পাশে নিয়ে গেছেন। এখন তার গ্রামের বিভিন্ন বাসাবাড়ি ভাড়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তার নিজের বাড়ির দলীয় ব্যক্তিগত কার্যালয়ও এই কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই কাজে সহযোগিতার করছেন বর্তমান ভিসি। তাই আমরা ভিসির পদত্যাগসহ দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সুনামগঞ্জ জেলা শহরের আশেপাশে স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগসহ সকল অনিয়ম দুর্নীতির সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করেন বক্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে সূচনা বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলনের সদস্যসচিব মুনাজ্জির হোসেন সুজন। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আহ্বায়ক হুমায়ুন মঞ্জুর চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ মহিবুল ইসলাম, রবিউল লেইস রোকেস, শামসুদ্দিন আহমদ প্রমুখ।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন আন্দোলনের ১৫১ সদস্যের জেলা কমিটি ও ১২ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়। এ সময় প্রত্যেক উপজেলায় ১২ সদস্য বিশিষ্ট সমন্বয় কমিটিও ঘোষণা করা হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ পদত য গ পদত য গ র দ ব সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
করিডোরের জন্য দু’দেশের সম্মতি লাগবে: জাতিসংঘ
রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক নাগরিকের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে করিডোরের বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সম্মতি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ঢাকার জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয় সমকালকে এক বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশে জাতিসংঘ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে রাখাইনে মানবিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও উদ্বিগ্ন তারা।
জাতিসংঘ অন্য অংশীদারকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করবে। বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমার সীমান্ত পেরিয়ে যে কোনো মানবিক সহায়তা বা সরবরাহের জন্য প্রথমে দুই সরকারের মধ্যে সম্মতি প্রয়োজন। সীমান্ত অতিক্রম করে সহায়তা দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এটি ছাড়া জাতিসংঘের সরাসরি ভূমিকা সীমিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গত রোববার এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছিলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা রাখাইন রাজ্যে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে সম্মত। কারণ এটি একটি মানবিক সহায়তা সরবরাহের পথ হবে। তবে আমাদের কিছু শর্ত আছে। সেই শর্ত যদি পালন করা হয়, অবশ্যই আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সহযোগিতা করব।’
এ খবর চাউর হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। সরকারের এমন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নের শঙ্কা করছে রাজনৈতিক দলগুলো। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সরকার কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তথাকথিত মানবিক করিডোর স্থাপন নিয়ে জাতিসংঘ বা অন্য কারও সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা হয়নি বলে দাবি করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
গত অক্টোবরে জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প (ইউএনডিপি) রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে ১২ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। প্রতিবেদনে রাখাইনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির কথা উল্লেখ করা হয়। রাখাইনের পণ্য প্রবেশের জন্য আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সীমান্ত বন্ধ রয়েছে, আয়ের কোনো উৎস নেই। ভয়াবহ মূল্যস্থিতি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদনে ধস, জরুরি সেবা এবং সামাজিক সুরক্ষায় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কয়েক মাসের মধ্যে সেখানে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি আরও অবনতির শঙ্কা করছে জাতিসংঘ।