বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়া আরো সহজ করার আহ্বান জানিয়েছেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা। সরবরাহ ব্যবস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন তারা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) কার্যালয়ে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভুটানের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের আলোচনা সভা হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্যের অনাবিষ্কৃত খাতগুলো নিয়ে আলোচনা করেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা।

দুই দেশের ব্যবসায়ীরা, ফল, সবজি, মসলাসহ বেশকিছু কৃষিপণ্যের বাণিজ্য সম্প্রসারণের সম্ভাবনা দেখছেন। তারা উভয় দেশের মধ্যে অংশীদারত্ব এবং পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক আরো এগিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।

ভুটানের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন রিজিওনাল অ্যাগ্রিকালচারাল মার্কেটিং অ্যান্ড কো-অপারেটিভ অফিসের (রেমকো) রিজিওনাল ডিরেক্টর দাওয়া ডাকপা। এ সময় এফবিসিসিআইর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স উইংয়ের প্রধান মো.

জাফর ইকবাল ও ঢাকাস্থ ভুটান দূতাবাসের মিনিস্টার কাউন্সিলর (বাণিজ্য) দাওয়া শেরিং উপস্থিত ছিলেন।

আরো উপস্থিত ছিলেন—এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক হাজী মো. এনায়েতউল্লাহ, ফেরদৌসী বেগম, বাংলাদেশ অ্যাগ্রো ফিড ইনগ্রিডিয়েন্টস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ এম আমিরুল ইসলাম ভূইয়াঁ, এফবিসিসিআইর সাধারণ পরিষদের সদস্য মো. জাকির হোসেন, শেখ আল মামুন এবং অন্যান্য ব্যবসায়ী।

ঢাকা/এনএফ/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ব যবস য় এফব স স

এছাড়াও পড়ুন:

জ্বালানি উপদেষ্টা বললেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনায় বাণিজ্য উপদেষ্টা নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্টা শুল্ক কমানোর আলোচনায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আজ শুক্রবার এক পোস্টে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ পণ্যমূল্য স্থিতিশীলতা বজায় রাখা থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সফল শুল্ক আলোচনায় তিনি (বাণিজ্য উপদেষ্টা) নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন, সমালোচকদের হতাশ করে।’

যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশ থেকে পণ্য আমদানি করে, সেসব দেশের ওপর গত ২ এপ্রিল পাল্টা শুল্ক বা রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ আরোপ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বের ৫৭টি দেশের ওপর বিভিন্ন হারে বাড়তি পাল্টা শুল্ক বসানো হয়। তখন বাংলাদেশের পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক ছিল ৩৭ শতাংশ। তিন মাসের জন্য এ সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৮ জুলাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্ক হবে ৩৫ শতাংশ, যা কার্যকর হবে ১ আগস্ট থেকে।

যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক কমাতে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। একই আদেশে দেশে আরও কয়েক ডজন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক বসান তিনি।

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান

সম্পর্কিত নিবন্ধ