সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। সমাজসেবা অধিদপ্তরের সকল কাজ স্বচ্ছতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে হবে। সেবাগ্রহীতার পছন্দকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের দারপ্রান্তে সেবা পৌঁছাতে হবে। সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় দেশের সেরা মন্ত্রণালয়ের স্বীকৃত পাবে।

বুধবার আগারগাঁওয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তরের মধুমতি মিলনায়তনে সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। দুইদিনব্যাপী এ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.

মো. মহিউদ্দিন। ‘সামাজিক উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অংশীজনদের নিয়ে পথচলা’  প্রতিপাদ্য নিয়ে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো.সাইদুর রহমান খান। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) শাহেদ পারভেজ। কর্মঅধিবেশনে আরও বক্তব্য দেন, পরিচালক (সামাজিক নিরাপত্তা) মো. মোশাররফ হোসেন, পরিচালক (প্রতিষ্ঠান) সমীর মল্লিক। অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ও তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তা,জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ, শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান ট্রাস্ট, শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট, বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন কাউন্সিল এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়, প্রতিষ্ঠান, সদর কার্যালয়ের উপপরিচালক এবং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র চ লক

এছাড়াও পড়ুন:

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে হঠাৎ দুদকের অভিযান

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রধান কার্যালয়ে আজ রোববার হঠাৎ অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইপিবির আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে ডলারে ঘুষ নিয়েছেন সংস্থাটির এক উপপরিচালক, এমন অভিযোগে ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোয় ‘ডলারে ঘুষ নেন ইপিবির এক কর্মকর্তা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঘটনা তদন্ত করতে এরপর তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ইপিবি। কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা ওঠে আসে।

তবে এক বছরের বেশি সময় পার হলেও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ইপিবি। দুদক সম্প্রতি এ বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য একটি দল গঠন করে এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আমলে নিয়েই দুদক আজ অভিযান পরিচালনা করেছে বলে জানা গেছে।

জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের এক উপপরিচালকের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ ছিল। এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই দুদকের তিন সদস্যের একটি দল আমাদের কার্যালয়ে আসে। আমরা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করেছি। বিষয়টি অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে।’

ইপিবি গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইপিবির অনুমোদন ছাড়া ১৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জামানত বাবদ ১৫০ ডলার করে নেওয়া ঠিক হয়নি।’ আরও বলা হয়, চীনের কুনমিংয়ে ২০২৩ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত একটি মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে জামানত নেওয়া হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া।

দুদকের সূত্রগুলো বলছে, ২০১৭ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পরিমাণের পে–অর্ডার দিয়েছেন মেলায় অংশগ্রহণকারীরা, ইপিবির এক উপপরিচালক আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এত দিন সেগুলো নিজের জিম্মায় রেখে দিয়েছিলেন। দুদক সরেজমিন ইপিবি কার্যালয়ে এসে পে-অর্ডারগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করেছে, তবে কিছু উদ্ধার হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে হঠাৎ দুদকের অভিযান