Prothomalo:
2025-09-18@06:28:30 GMT

মনের গোসল, সে আবার কী

Published: 24th, April 2025 GMT

১. শোগোনাই

জাপানি শব্দ ‘শোগোনাই’–এর অর্থ ‘কিছুই করার নেই’। এতে যা কিছু আপনার নিয়ন্ত্রণে নেই, সেটা সহজে মেনে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর যা কিছু আপনার নিয়ন্ত্রণে আছে, সেসবে ‘ফোকাস’ করতে অনুপ্রাণিত করা হয়েছে।

২. ওয়াবি-সাবি

এর অর্থ ‘পারফেক্ট’ বলে কিছু হয় না। এর মাধ্যমে পারফেকশন না খুঁজে বরং হৃদয় খুলে ‘ইম্পারফেকশন’–এর সৌন্দর্য উদ্‌যাপন করতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুননিজের খুঁতগুলো যে কারণে এবং যেভাবে মেনে নেবেন২১ এপ্রিল ২০২৫৩.

কাইজেন

এর অর্থ ছোট ছোট উন্নতিতে নজর দেওয়া। একবারে অনেক বড় পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ না করে বরং একটু একটু করে সামনে এগোনো। প্রতিদিন আগের দিনের চেয়ে ১ শতাংশ ‘বেটার’ হওয়ার চেষ্টা করা। কেননা কেবল এভাবে একটু একটু করে নিয়মিতভাবে এগোনোর ফলে আপনি যা কিছু অর্জন করবেন, তা হবে টেকসই।

৪. শিনরিন-ইয়োকু

‘শিনরিন’ শব্দের অর্থ বন বা জঙ্গল। আর ‘ইয়োকু’ অর্থ গোসল। ইংরেজিতে যাকে বলে ‘ফরেস্ট বাথিং’। বনে গোসল? আদতে এর মাধ্যমে বেশি বেশি জঙ্গলে ঘোরা বা প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটানোর কথা বলা হয়েছে। মানসিক চাপ থেকে মুক্তির জন্য, স্ট্রেস হরমোন কমাতে প্রকৃতির জাদুকরী ভূমিকার কথা বলা হয়েছে। মন শান্ত করতে ও পরিষ্কারভাবে চিন্তা করার জন্যও প্রাকৃতিক সবুজ বা গাছপালার কোনো বিকল্প নেই। আদতে গোসলে যেমন শরীরের ময়লা পরিষ্কার হয়, তেমনি মনে জমে থাকা সব ক্লান্তি, অবসাদ, ভার, জটিলতা, দুশ্চিন্তা দূর করতে প্রয়োজন হয় মনের গোসল। আর মনের গোসলের জন্যই আপনাকে নিয়মিত জঙ্গলে যেতে বা প্রকৃতির সান্নিধ্যে যেতে বলা হচ্ছে।

আরও পড়ুনচৌকস হওয়ার ৫ জাপানি টেকনিক০৭ এপ্রিল ২০২৫৫. ইকিগাই

এর সম্পর্কে হয়তো জানেন। ইকিগাই বিশ্বব্যাপী খুবই জনপ্রিয়। এর অর্থ প্রতিদিন আপনি একটা উদ্দেশ্য নিয়ে ঘুম থেকে উঠবেন। ইকিগাইয়ের মূলকথা চারটি—

ঘুম থেকে উঠে এমন কিছু করুন, যেটা আপনি ভালোবাসেন।

ঘুম থেকে উঠে এমন কিছু করুন, যেটাতে আপনি দক্ষ।

ঘুম থেকে উঠে এমন কিছু করুন, যেটা বিশ্বের জন্য বা মানুষ, প্রাণ ও প্রকৃতির কল্যাণে দরকার।

ঘুম থেকে উঠে এমন কিছু করুন, যার মাধ্যমে আপনি যথেষ্ট উপার্জন করতে পারেন।

সূত্র: বিজনেস গ্রোথ মেন্টর

আরও পড়ুনএই ৪ প্রবাদ থেকেই বোঝা যায়, ফিনল্যান্ড কেন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ ২০ মার্চ ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এমন ক ছ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদপুরে জীবন্ত নবজাতক দাফনের চেষ্টা, হাসপাতাল বন্ধ

চাঁদপুর পৌর কবরস্থানে নবজাতক দাফনের সময় নড়ে ওঠা এবং পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার পর মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার হয় শহরের তালতলা দি ইউনাইটেড হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় ফারুক হোসেন গাজী (৪৫)। এই ঘটনায় আগামী দুই দিনের মধ্যে রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তর করে হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় দি ইউনাইটেড হাসপাতালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন হাসপাতালটিতে নানা অবৈধ কার্যক্রম চলে আসছে। ওই নবজাতকের জন্মও হয় এই হাসপতালে। জীবন্ত নবজাতক দাফনের চেষ্টা করার ভিডিও ভাইরাল হলে বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসনের এবং পুলিশ সুপারের নির্দেশে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) নবজাতককে কবরস্থানে নিয়ে আসা ওয়ার্ড বয় ফারুক গাজীকে গ্রেপ্তার করে।

এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা করেন পৌর কবর স্থানের কেয়ারটেকার মো. শাহজাহান মিয়াজী।

এদিকে দি ইউনাইটেড হাসপাতালে এ ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাপ্পি দত্ত রনি বলেন, “হাসপাতালে এসে ব্যবস্থাপনায় জড়িত কাউকে পাওয়া যায়নি। তাদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করেও কোন সাড়া মিলেনি। চিকিৎসক নেই, হাসপাতালের প্যাথলজি ও ওটির সঠিক পরিবেশ নেই। একই সাথে পোস্ট অপারেটিভ রোগীর জন্য কোন সুব্যবস্থা নেই এবং হাসপাতালের কাগজপত্রও নবায়ন নেই।”

তিনি আরো বলেন, “প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং ওটি, প্যাথলজি ও সংশ্লিষ্ট কক্ষ সীলগালা করা হয়েছে। একই সাথে রোগীদেরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্য স্থানে সেবার ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমাদের অভিযানে পরিচালিত কার্যক্রম সিভিল সার্জন বরাবর প্রদান করা হবে। সিভিল সার্জন হাসপাতালের নিবন্ধন বাতিলসহ পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে পারবেন।”

এ ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রফিকুল হাসান ফয়সাল, জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান। অভিযানে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ সহযোগিতা করেন।

অপরদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত শেষে হাসপাতালের ড্রাগ সনদসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরীক্ষা করে দেখেন জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মু. মিজানুর রহমান।

ঢাকা/অমরেশ/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ