রাজশাহীতে শিবির নেতা হত্যা মামলার আসামি যুবলীগকর্মীকে গুলি, কুপিয়ে জখম
Published: 24th, April 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি শরিফুজ্জামান নোমানী হত্যা মামলার আসামি যুবলীগ কর্মী রবিউল ইসলামকে গুলি ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নগরের পঞ্চবটী এলাকার খড়বোনার গাড়োয়ানপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত রবিউল ইসলাম ওরফে রবি (৪০) রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকার আজিজুল ইসলাম ওরফে হাবলের ছেলে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কর্মচারী। রবিউলের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম ৩০ নম্বর ওয়ার্ড (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাঁরা দুই ভাই শিবির নেতা নোমানী হত্যা মামলার আসামি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চবটী এলাকার গাড়োয়ানপাড়ায় রবিউল ইসলাম ভাড়া বাসায় থাকেন। বাড়ির সামনে গতকাল রাত পৌনে ৯টার দিকে চার–পাঁচজন মোটরসাইকেলে এসে গুলি ছোড়েন। এ ছাড়া ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে চলে যান। এতে রবিউল বাঁ পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তাঁর অন্য পা এবং দুটি হাতে জখম হয়েছে। পরে তাঁকে আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদিকে ঘটনাস্থলে পাঁচটি গুলির খোসা পাওয়া গেছে।
ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, রবিউল বাড়ির পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। কয়েকটি মোটরসাইকেল আসে। প্রথমে গুলির শব্দ শোনা যায়। একজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপাতে থাকেন। রবিউল মোটরসাইকেল থেকে দৌড়াতে গিয়ে পড়ে যান। এরপর তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। শেষে একজন একেবারে কাছ থেকে তাঁর পা লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এরপর হামলাকারীরা চলে যান। এ সময় আহত রবিউল বলতে থাকেন, ‘ও বাপ ও মা আমি কী করেছি।’ এ সময় দুজন নারী ছুটে আসছিলেন; তবে গুলির শব্দ পেয়ে আবার তাঁরা ফিরে যান। পাশ থেকে নারীরা চিৎকার করছিলেন।
এ বিষয়ে গতকাল রাতে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, বরিউলের পায়ে গুলি লেগেছে। তিনি হাসপাতালের অস্ত্রোপচার কক্ষে আছেন। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
ঘটনাস্থলে পড়ে আছে গুলির খোসা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
রাজনীতিতে না জাড়ানোর কারণ জানালেন প্রীতি জিনতা
বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা এখন অভিনয়ে অনিয়মিত। অভিনয়ে তাকে দেখা না গেলেও নিজের ক্রিকেট দলের হয়ে মাঠে তাকে প্রায়ই দেয়া যায়। মাঝে গুঞ্জন উঠেছিলে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন তিন। অবশ্য এবিষয়ে টুঁশব্দও করেননি এই অভিনেত্রী।
এদিকে মাস তিনেক আগে কংগ্রেসের পক্ষ অভিযোগ তোলা হয়েছিল, প্রীতি জিনতার ১৮ কোটি টাকার ঋণ নাকি মকুফ করে দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। শুধু তাই নয়, প্রীতি নাকি তার সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বিজেপির হাতে সঁপে দিয়েছেন- এমন অভিযোগও ওঠে। এরপর বলিউড নায়িকার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা শুরু হয়।
সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডলে প্রীতি জিনতাকে একজন জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কি ভবিষ্যতে বিজেপিতে যোগ দেবেন? আপনার গত কয়েক মাসের টুইট দেখে তো তেমনটাই মনে হচ্ছে। জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘সোশাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীদের এটাই একটা সমস্যা। সবাই এত বিচার করতে বসে যান সবকিছু নিয়ে। আমি যেমনটা আগে বলেছি, মন্দিরে, মহাকুম্ভে যাওয়া কিংবা নিজের পরিচয় নিয়ে আমি গর্বিত। তার মানে এই নয় যে এসমস্ত কারণে আমি বিজেপিতে যোগ দেব।’
প্রীতি বলেন, ‘ভারতের বাইরে থাকার ফলে আমি দেশের প্রকৃত মূল্য উপলব্ধি করতে পেরেছি এবং আর পাঁচজন ভারতীয়র মতোই গর্ববোধ করি আমার দেশকে নিয়ে।’
রাজনীতিতে না আসার কারণ গত ফেব্রুয়ারি মাসেও জানিয়েছিলেন প্রীতি জিনতা। সেসময় তিনি বলেন, ‘রাজনীতি আমার দ্বারা হবে না। বিগত কয়েক বছরে একাধিক রাজনৈতিক দল আমাকে টিকিট দিতে চেয়েছে। এমনকি রাজ্যসভার আসনের প্রস্তাবও এসেছিল। তবে আমি বিনম্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি। কারণ, আমার ইচ্ছে নেই। আর আমাকে ‘সৈনিক’ বললেও অতিরঞ্জিত হবে না। কারণ, আমি একজন আর্মি পরিবারের সন্তান। আমার বাবা সৈনিক এবং আমার দাদাও। আর্মি পরিবারের সন্তান হওয়ায় আমাদের মানসিকতা খানিক আলাদা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজেদের উত্তর ভারতীয়, দক্ষিণ ভারতীয় কিংবা হিমাচলী বা বাঙালি বলে ভাবি না, আমাদের পরিচয় শুধুমাত্র ভারতীয়। আর হ্যাঁ, দেশভক্তি আমাদের রক্তে।’ সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।