‘লাল মামার টং’ শুধু চা-স্টল নয়, ক্যাম্পাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ
Published: 24th, April 2025 GMT
স্টিলের পাত দিয়ে তৈরি ছোট্ট ঝুপড়ি দোকান। ক্যাম্পাসের সবাই এটিকে ‘লাল মামার টং’ নামে চেনে। সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর–সংলগ্ন যাত্রীছাউনির পাশেই দোকানটি। চায়ের কাপ হাতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আড্ডায় নিয়মিত মুখর থাকে দোকানটি। আলোচনায় উঠে আসে সমকালীন রাজনীতি, পরিবেশ, গবেষণা কিংবা নানামুখী বিতর্ক। ক্লাসের ফাঁকে বা বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এখানে সম্মিলন ঘটে বহু চিন্তার।
কিন্তু এসব চিন্তা কিংবা আড্ডার বাইরেও লাল মামার টংদোকানটি কীভাবে গড়ে উঠেছে, সেটির আছে ভিন্ন গল্প। আছে চা বিক্রি করে জীবন-জীবিকা চালিয়ে নেওয়ার এক সংগ্রামের চিত্র।
দোকানটির মালিক অজয় আচার্যের বয়স ৫৫ ছুঁই ছুঁই। ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে নিজ হাতে চা, বিস্কুট ও পান বিক্রি করে তিনি ক্যাম্পাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছেন। অজয়ের ব্যবসার যাত্রা শুরু হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে। সেখানে চার-পাঁচ বছর চা বিক্রি করেছিলেন। এরপর ২০০০ সালে ক্যাম্পাসে এসে টংদোকান দেন। প্রথম দিকে দোকান ছিল মুক্তমঞ্চের কাছে, পরে স্থানান্তরিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যারেজের পাশে। ১০ বছর ধরে দোকানটি বর্তমান স্থানে আছে। ক্যাম্পাসে তিনিই প্রথম টংদোকান স্থাপন করেন। শুরুর দিকে অন্যরা ঠেলাগাড়িতে করে চা-বিস্কুটসহ নানা পণ্য বিক্রি করতেন।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অজয় আচার্য শিক্ষার্থীদের কাছে ‘লাল মামা’ নামে পরিচিত.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ ক নট
এছাড়াও পড়ুন:
রাইজিংবিডিতে সংবাদ প্রকাশ: ডেরা রিসোর্টের লাইসেন্স বাতিল
মানিকগঞ্জের ঘিওরের বালিয়াখোড়ায় অবস্থিত ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের নানা অনিয়ম নিয়ে রাইজিংবিডিতে ‘কবরস্থানে হরিণের খামারসহ নানা অনিয়মের আখড়া ডেরা রিসোর্ট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিল করেছে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ডেরা রিসোর্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সহকারী নিয়ন্ত্রক (সিনিয়র সহকারী সচিব) শেখ রাশেদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনা পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টার ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর লাইসেন্স প্রাপ্তির আবেদন করেন। নানা অনিয়মের কারণে তাদের লাইসেন্স নামঞ্জুর করা হয়েছে। রিসোর্টের লাইসেন্স না থাকায় প্রশাসনকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০২৫ সালের ১৪ জানুয়ারি ‘ফসলি জমি দখল করে ডেরা রিসোর্ট নির্মাণ, বিপাকে কৃষক’; ১৯ মার্চ ‘ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ডেরা রিসোর্ট, তদন্ত কমিটি গঠন’ শিরোনামে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে রাইজিংবিডি। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ‘কবরস্থানে হরিণের খামারসহ নানা অনিয়মের আখড়া ডেরা রিসোর্ট’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ডেরার লাইসেন্স নামঞ্জুর করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ইন্তাজ উদ্দিন বলেন, “অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডিতে ডেরা রিসোর্ট নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও ভোগান্তি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদক অনুসন্ধান করে ডেরা রিসোর্টের নানা অনিয়ম তুলে এনেছেন। প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রশাসন লাইসেন্স বাতিল করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে এটি ভালো উদ্যোগ। তবে এসব নির্দেশনা কাগজে কলমের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবায়ন করাটাই বড় কাজ। নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে সুশাসন নিশ্চিত হবে।”
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, “মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার কপি পেয়েছি। সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের ব্যবস্থাপক ওমর ফারুক বলেন, “লাইসেন্সের বিষয়ে কোন নোটিশ এখনও পাইনি আমরা। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিষয়েও জানা নেই। যদি লাইসেন্স বাতিল করে থাকে, তাহলে আমরা আইনিভাবে বিষয়টি সমাধান করব।”
এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে এশিউর গ্রুপের অঙ্গসংগঠন ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ সাদীর মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ঢাকা/চন্দন/এস