গত ৪ বছর ধরেই সাদাত শাফি নাবিলের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি। সেই সম্পর্ক নাকি ভেঙে গেছে। ভেঙে যাওয়া সম্পর্কের কথা অভিনেত্রী বিষয়টি নিজেই স্বীকার করেছেন।

সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া থেকে নানা বিষয় নিয়েই ক্লান্ত বিধ্বস্ত এই অভিনেত্রী রীতিমতো কাঁদছেন। সেই কান্নার ছবিও সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। বৃহস্পতিবার নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে সামিরা খান মাহি বেশকিছু ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, গত কয়েকটা দিন ভীষণ কষ্টের কেটেছে।

মাহি লিখেছেন, ট্রলড হওয়ার কষ্ট, বোনের বিয়ের দায়িত্বের চাপ, আর নিজের সম্পর্কের টানাপোড়েন-সব মিলিয়ে ভিতরটা একেবারে খালি খালি লাগছে। সত্যি বলতে, খুব ক্লান্ত, খুবই এলোমেলো লাগছে নিজেকে।

মাহি লিখেছেন, ‘আমি ভুল করেছি, যা অনেককেই কষ্ট দিয়েছে, এটাও আমি বহন করে গেছি। আমি জানি আমি হৃদয় ভেঙেছি, এর জন্য আমি দুঃখিত। সত্যিই আমি ভেঙে পড়েছি- আর এটা বলতে ভয় পাই না আমি।’

          View this post on Instagram                      

A post shared by Samira Khan Mahi (@samira_mahi)

 

ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে চোখের জলের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, আমার এই দুর্বলতম সময়েও আমি জানি, উঠে দাঁড়ানোর শক্তি আমাকে ছেড়ে যায়নি। আমি এখন শুধুই ক্লান্ত, তবে পরাজিত নই। যদি সবার সঙ্গে হাসি শেয়ার করা যায়, তাহলে আমি বলবো চোখের জলও শেয়ার করা যায়। জীবন খুব ভালো করেই দেখেছেন অভিনেত্রী। হয়তো সে কারণেই লিখেছেন, জীবন সবসময় সাজানো-গোছানো আর নিখুঁত হয় না।

এক বছরের বন্ধুত্ব তারপর প্রেমের সম্পর্কে গিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন মাহি। পরিচয়ের পর নিয়মিত কথা হতো তাদের। কথা বলা থেকে ভালো লাগা শুরু। এরপর প্রেম। সামাজিকমাধ্যম ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে নাবিলের সঙ্গে মাহির পরিচয়। চার বছর সম্পর্কের পর বিচ্ছেদের কথা জানালেন মাহি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নরসিংদীতে কলাবাগান থেকে অজ্ঞাতনামা যুবকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার

নরসিংদীর পলাশে কলাবাগান থেকে অজ্ঞাতনামা এক যুবকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকালে উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ধনারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৩৫ বছর। তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নিহতের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল আটটার দিকে পাঁচদোনা-চরসিন্দুর আঞ্চলিক সড়কের পাশে ধনারচর গ্রামের একটি কলাবাগানে রক্তাক্ত লাশটি দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে খবর পেয়ে সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।

পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন বলেন, নিহত যুবকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গতকাল রাতে দুর্বৃত্তরা তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে গেছে।

ওসি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে তদন্ত চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ