পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের নেওয়া পাঁচটি পদক্ষেপ ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন শুরু করেছে। তারা পাকিস্তানের নাগরিকদের জন্য সব ধরনের ভিসা বাতিল করেছে। এর মধ্যে মেডিকেল ভিসাও রয়েছে। তাঁদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানিদের জন্য ভিসা কার্যক্রমও স্থগিত করা হয়েছে।

কাশ্মীরের পেহেলগামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ২৬ ভারতীয় পর্যটক নিহত হওয়ার পর গতকাল এক জরুরি বৈঠকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি পদক্ষেপ নেয় ভারত।

আজ বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পেহেলগামে হামলার প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির গৃহীত সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় ভারত সরকার পাকিস্তানের নাগরিকদের ভিসা পরিষেবা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা তাৎক্ষণিক কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের নাগরিকদের কাছে থাকা সব ভারতীয় ভিসা আগামী রোববার (২৭ এপ্রিল) বাতিল হয়ে যাবে। পাকিস্তানি নাগরিকদের মেডিকেল ভিসার মেয়াদ থাকবে আগামী মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) পর্যন্ত।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের যেসব নাগরিক বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তাঁদের অবশ্যই ভারত ছাড়তে হবে। এ ছাড়া ভারতের নাগরিকদের পাকিস্তান ভ্রমণ না করতে কঠোরভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ভারতের যেসব নাগরিক পাকিস্তানে অবস্থান করছেন, তাঁদের অতি দ্রুত ভারতে প্রত্যাবর্তন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।

মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।

সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।

মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ

সম্পর্কিত নিবন্ধ