ঘুষ নেওয়ার সময় হা‌তেনা‌তে ধরা প‌ড়ে‌ছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) দুই নম্বর অঞ্চলের চার নম্বর ওয়ার্ড সচিব কুতুবউদ্দিন সোহেল।

গোপন ফাঁদ ব‌সি‌য়ে বৃহস্প‌তিবার (২৪ এপ্রিল) নিজ কার্যালয় থে‌কে ঘুষের টাকাসহ তা‌কে গ্রেপ্তার ক‌রে‌ছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ টিম। এ সময় তার কাছ থে‌কে ঘু‌ষের আলামত জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুদকের উপ-পরিচালক মো.

আকতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

আরো পড়ুন:

‘টাকা পাচারকারীরা শয়তানের মতো, ধর‌তে পার‌লে ছাড় নেই’

নি‌য়োগ দুর্নীতি-অর্থ আত্মসাৎ: সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে দুদ‌কের হানা

তি‌নি ব‌লেন, “অভিযুক্ত সো‌হেলকে দুদ‌কের সম‌ন্বিত কার্যালয় ঢাকা-১ এর হেফাজ‌তে রাখা হ‌য়ে‌ছে। তার বিরু‌দ্ধে মামলার প্রস্তু‌তি চল‌ছে।”

দুদক জানায়, সবুজবাগে পূর্ব বাসাবোর লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার মো. সাইফুল ইসলাম নির্মাণাধীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি চালুর জন্য সিটি কর্পোরেশনের ছাড়পত্রের জন‌্য আবেদন ক‌রেন। আবেদনপত্র দাখিলের পর সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সচিব কুতুবউদ্দিন সোহেল সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে কোনো ত্রুটি না পেলেও ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। 

সোহেল হুমকি দেন, ‘দাবি করা ঘুষের টাকা না দিলে তিনি কোনোভাবেই ছাড়পত্র দেবেন না।’ কুতুবউদ্দিন সোহেল আগত সব সেবাপ্রার্থীর কাছ থেকে ছাড়পত্র প্রদান বাবদ ঘুষ হিসেবে টাকা গ্রহণ করে থাকেন।

এ বিষয়‌টি তি‌নি দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ বরাবর লিখিতভা‌বে জানা‌লে দুদ‌কের বি‌শেষ টিম সো‌হেল‌কে টাকাসহ হা‌তে না‌তে গ্রেপ্তার ক‌রে।

এ বিষয়ে দুদকের উপপরিচালক ও অভিযানের টিম প্রধান মো. নাজমুস সাদাত বলেন, “কমিশনের অনুমোদন নিয়ে আমরা ফাঁদ অভিযান পরিচালনা করি। ১০ হাজার টাকাসহ তাকে গ্রেপ্তার করি। আমাদের কাছে তথ্য ছিল, তিনি দীর্ঘদিন ধরে অপকর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এখন আইন অনুযায়ী তার বিরু‌দ্ধে ব‌্যবস্থা নেওয়া হ‌বে।”

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ড়পত র

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর চেষ্টা সিনেটে ব্যর্থ

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যে, ইসরায়েলের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রি আটকাতে মার্কিন সিনেটে তোলা একটি বিল পাস হতে ব্যর্থ হয়েছে।

ব্যর্থ হলেও, বুধবারের ভোটে দেখা গেছে, মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ভেতরে ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরোধিতা জোরদার হয়ে উঠেছে। 

আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকানোর প্রচেষ্টায় এবারের ভোটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যাক ডেমোক্র্যাট যোগ দিয়েছেন। 

ইসরায়েলের কাছে ২০ হাজার স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল বিক্রি বন্ধ করার প্রস্তাবের পক্ষে ২৭ জন ডেমোক্র্যাট ভোট দিয়েছেন, আর ৬৭৫ মিলিয়ন ডলারের বোমার চালান বন্ধ করার পক্ষে ২৪ জন ভোট দিয়েছেন। 

অন্যদিকে, ভোটদারকারী সব রিপাবলিকান সিনেটররা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। 

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিক্রির দুটি চুক্তি আটকে দিতে প্রস্তাবগুলো সিনেটে আনেন ভার্মন্টের সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি প্রগতিশীল ঘরানার স্বতন্ত্র সিনেটর।

ভোটের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্টে স্যান্ডার্স বলেন, “ওয়াশিংটন ইসরায়েলের ‘বর্ণবাদী সরকার’কে এমন অস্ত্র সরবরাহ করা চালিয়ে যেতে পারে না, যা নিরীহ মানুষদের হত্যা করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।”

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে একজন ‘জঘন্য মিথ্যাবাদী’ হিসেবে উল্লেখ করে স্যান্ডার্স ‘এক্স’ পোস্টে আরো বলেন, “গাজায় শিশুরা না খেয়ে মারা যাচ্ছে।”

প্রথমবারের মতো স্যান্ডার্সের প্রস্তাবকে সমর্থনকারী আইন প্রণেতাদের মধ্যে, ওয়াশিংটন রাজ্যের সিনেটর প্যাটি মারে বলেছেন, প্রস্তাবগুলো ‘নিখুঁত’ না হলেও, তিনি গাজার নিষ্পাপ শিশুদের অব্যাহত দুর্ভোগকে সমর্থন করতে পারেন না।

মারে এক বিবৃতিতে বলেন, “ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও আমি প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিচ্ছি এই বার্তা দিতে: নেতানিয়াহু সরকার এই কৌশল চালিয়ে যেতে পারবে না।”

তিনি বলেন, “নেতানিয়াহু ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিটি পদক্ষেপে এই যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করেছেন। আমরা গাজায় মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ প্রত্যক্ষ করছি- সীমান্তের ওপারে যখন প্রচুর পরিমাণে সাহায্য ও সরবরাহ পড়ে আছে, তখন শিশু এবং পরিবারগুলোর অনাহার বা রোগে মারা যাওয়া উচিত নয়।”

মার্কিন জনগণের মধ্যে গাজা যুদ্ধের বিরোধিতা ক্রমবর্ধমান হওয়ার পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন নিয়ে ব্যাপক আকারে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার প্রকাশিত গ্যালাপের একটি জরিপে দেখা গেছে, ৩২ শতাংশ আমেরিকান বলেছেন, তারা গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সমর্থন করেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ৪২ শতাংশ আমেরিকান ইসরায়েলের অভিযান সমর্থন করেছিলেন।

গ্যালাপের মতে, পরিচয় প্রকাশ করে মাত্র ৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট বলেছেন যে তারা ইসরায়েলের অভিযানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন, যেখানে ৭১ শতাংশ রিপাবলিকান বলেছেন জানিয়েছেন যে, তারা ইসরায়েলি পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ