পিএসএলের এবারের আসরে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বাজে ম্যাচটা খেললেন রিশাদ হোসেন। আগের ম্যাচে খরুচে বোলিংয়ে দুই উইকেট পেয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) তার দল লাহোর কালান্দার্সের হতশ্রী পারফরম্যান্সের দিনে উইকেটশূন্য থাকলেন এই টাইগার লেগ স্পিনার।
গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার প্রথমে বোলিং করে লাহোর কালান্দার্সকে চেপে ধরে পেশোয়ার জালমি। ৪৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে শাহিন আফ্রিদিরা। আলজার্রি জোসেফ ধ্বংসযজ্ঞ চালান লুক উড, অনূর্ধ্ব-১৯ তারকা আলি রাজা এবং হুসাইন তালতকে সঙ্গে নিয়ে। এরপর লাহোরকে কিছুটা সামাল দেন সিকান্দার রাজা, যিনি ৭ নম্বরে নেমে ৩৭ বলে ৫২ রান করেন। তার ইনিংসের ওপর ভর করেই লাহোর শেষ পর্যন্ত ১৯.
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় পেশোয়ার জালমি শুরুতেই ধাক্কা খায়। দলীয় ৭ রানে ২ উইকেট হারায়। তবে অধিনায়ক বাবর আজম দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে সামাল দেন এবং মৌসুমের প্রথম ফিফটি করেন। তিনি ৩০ বলে ৪৫ রান করেন এবং ফিফটি স্পর্শ করতে আরও ৭ বল নেন। তবে ম্যাচের সেরা পারফরমার হিসেবে আবির্ভূত হন হুসাইন তালত। তিনি ৫১ বলে অপরাজিত ৩৭ রান করার পাশাপাশি ২.২ ওভারে ১৮ রানে ২ উইকেটও নেন। তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে পেশোয়ার জালমি ২০ বল এবং ৭ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে।
গতকাল ব্যাট হাতে আটে ব্যাটিং করেন রিশাদ। ক্যামিও ইনিংস খেলার সুযোগ থাকলেও বাংলাদেশের তারকা থেমেছেন মিয়ম্রাণ হয়েই। ১৩ বলে করেন ১৩ রান। হাঁকিয়েছেন একটি করে চার ও ছক্কা।
ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও ছিলেন ছন্নছাড়া। দুই ওভার বল করে খরচ করেছেন ১৮ রান। পারেননি সুযোগও তৈরি করতে। তাতেই উইকেটশিকারির তালিকায় শীর্ষ থেকে নেমেছেন চার নম্বরে। ৪ ম্যাচে টাইগার স্পিনারের উইকেট সংখ্যা আগের মতোই, আটটি। ১২ উইকেট নিয়ে শীর্ষে জেসন হোল্ডার।
এই জয়ে পিএসএল টেবিলে চার নম্বরে উঠেছে বাবরের দল পেশোয়ার। ৫ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট চার। সমান পয়েন্ট নিয়ে তিনে রিশাদদের লাহোর। শীর্ষে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। আগামীকাল (২৬ এপ্রিল) রাত নয়টায় মুলতান সুলতানসের বিপক্ষে লড়বে লাহোর।
ঢাকা/নাভিদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়া কাপ: শক্তিশালী গ্রুপে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে।
আগামী বছরের ১-২৩ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে নারী এশিয়া কাপ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টের ড্র সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ দুপুরে। যেখানে শক্তিশালী গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ।
‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, চীন ও উত্তর কোরিয়া। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রতে বাংলাদেশ ছিল চার নম্বর প্লটে। সঙ্গী ছিল ইরান ও ভারত। গ্রুপিং ড্রতে টুর্নামেন্টের একমাত্র অভিষিক্ত দল বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় দল নির্বাচিত হয়।
পরের রাউন্ডে ‘বি’ গ্রুপের চতুর্থ দল হয় উজবেকিস্তান। এরপর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন চীন বাংলাদেশের গ্রুপের দ্বিতীয় দল হয়। সবশেষ দল হিসেবে এই গ্রুপে যুক্ত হয় উত্তর কোরিয়া। যারা ২০১০ সালে প্রতিযোগিতায় রানার্সআপ হয়েছিল।
ড্র অনুষ্ঠানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও এএফসি অংশগ্রহণকারী সকল দেশের অধিনায়ক ও কোচকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। প্রথমবার নারী এশিয়া কাপে সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের কেউ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেনি। গতকাল অংশগ্রহণকারী দলগুলোর কোচ, খেলোয়াড়রা ট্রফি নিয়ে ফটোসেশন করে হারবার ব্রিজের সামনে। সেখানে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ছাড়া, তাইওয়ান,ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনামের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাছাইপর্বে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল দুর্বার। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১২৮ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ পড়েছিল কঠিন ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল বাহরাইন (র্যাঙ্কিং ৯২), তুর্কমেনিস্তান এবং স্বাগতিক মিয়ানমার (র্যাঙ্কিং ৫৫)। র্যাঙ্কিংয়ের বিচারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের পারফরম্যান্সে বোঝার উপায় ছিল না।
প্রথম ম্যাচেই বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ঋতুপর্ণার জোড়া গোলের নৈপুণ্যে ২-১ ব্যবধানে হারায় মিয়ানমারকে। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকেও ছাড়েনি মেয়েরা। ৭-০ গোলের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছর মার্চে বসবে টুর্নামেন্টের ২১তম আসর, যেখানে খেলবে ১২টি দেশ।
ঢাকা/ইয়াসিন