বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির এক্সিকিউটিভ মাস্টার্স ইন পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (ইএমপিজি) প্রোগ্রামে স্নাতকোত্তর করার জন্য ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।

আজ শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নর্থ সাউথের ক্যাম্পাসে সশরীর হাজির হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব হিউম্যানিটিজ অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেসের অধীন পরিচালিত এ প্রোগ্রামের সামার সেশনের (২০২৫) পরীক্ষায় অংশ নেন।

আজ সন্ধ্যায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্সের (এসআইপিজি) ফেসবুক পেজে আসিফ মাহমুদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার ছবি পোস্ট করা হয়েছে।

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ইএমপিজি প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দু–এক দিনের মধ্যেই এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাই ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মুখসারির অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত বছরের ৮ আগস্ট গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পান তিনি। আসিফ মাহমুদ ২০১৭–১৮ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখান থেকে তিনি স্নাতক শেষ করেছিলেন।

ছাত্রজীবনের শুরু থেকেই ছাত্র অধিকার পরিষদের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন আসিফ মাহমুদ। সক্রিয় ছিলেন ক্যাম্পাসে নির্যাতনবিরোধী বিভিন্ন আন্দোলনে। পরে ছাত্র অধিকার পরিষদের একটি অংশের উদ্যোগে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি নামে নতুন ছাত্রসংগঠন গঠিত হয়, আসিফ ছিলেন এর অন্যতম উদ্যোক্তা। তিনি ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক ছিলেন। জুলাই অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির নেতাদের অধিকাংশই ছাত্রশক্তির নেতা ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ য় সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ