ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিয়ে যা বললেন ট্রাম্প
Published: 26th, April 2025 GMT
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনার জেরে পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তীব্র উত্তেজনা চলছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তারা (ভারত-পাকিস্তান) কোনো না কোনোভাবে এটি ঠিক করে নেবে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভ্যাটিক্যানে যাওয়ার আগে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
আরো পড়ুন:
ক্রিমিয়া ছাড়তে নারাজ ইউক্রেন, জেলেনস্কির কড়া সমালোচনায় ট্রাম্প
অভিবাসী-বিরোধী মার্কিন বিজ্ঞাপনের সমালোচনায় মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমি ভারতের খুব ঘনিষ্ঠ, আর আমি পাকিস্তানের খুব কাছের এবং কাশ্মিরে তাদের লড়াই হাজার বছর ধরে চলছে। কাশ্মির নিয়ে দ্বন্দ্ব হাজার বছর ধরে চলছে…সম্ভবত তার চেয়েও বেশি সময় ধরে। ওটা ছিল একটা খারাপ ঘটনা (পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলা)।”
কাশ্মির ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাত নিরসনের ওয়াশিংটন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না এই প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি নিশ্চিত যে তারা কোনো না কোনোভাবে এটি সমাধান করবে। আমি উভয় নেতাকেই চিনি। পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে প্রচণ্ড উত্তেজনা রয়েছে, কিন্তু সবসময়ই ছিল।’
গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পহেলগাঁওয়ে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। যার মধ্যে ২৫ জন ভারতীয় এবং একজন নেপালি। এটি ২০১৯ সালের পর ভারত-শাসিত কাশ্মিরে সবচেয়ে মারাত্মক হামলার ঘটনা।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।
মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।
মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।
সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।
মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ