আউট হয়েও মাঠ না ছাড়ায় শাস্তি পেলেন হৃদয়
Published: 26th, April 2025 GMT
বাংলাদেশের ক্রিকেটে আবারও আলোচনায় তাওহিদ হৃদয়। আবারও আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে জরিমানা ও ডিমেরিট পয়েন্টের শিকার হয়েছেন মোহামেডান অধিনায়ক।
শনিবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ম্যাচে ওয়াসি সিদ্দিকীর বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন হৃদয়। তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হয়ে দীর্ঘ সময় উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়রা উল্লাস শুরু করলেও মাঠ ছাড়তে অনীহা দেখান হৃদয়।
আইসিসির আচরণবিধি অনুযায়ী, আউট হওয়ার পর মাঠে দাঁড়িয়ে থাকাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ধরা হয়। এ ঘটনায় হৃদয়কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং তার নামের পাশে যোগ হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট।
এর ফলে হৃদয়ের মোট ডিমেরিট পয়েন্টের সংখ্যা দাঁড়াল ৮-এ। নিয়ম অনুযায়ী, ৮ থেকে ১১ ডিমেরিট পয়েন্টের জন্য চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। ফলে আসন্ন আবাহনীর বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মোহামেডানের হয়ে খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে পড়েছে হৃদয়ের। খেলতে না পারলে মোহামেডানের জন্য এটি হবে বড় ধাক্কা।
এর আগে হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ডিপিএলে কম নাটকীয়তা হয়নি। একবার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া, পরে কমিয়ে আনার পর তামিমদের চাপের মুখে আবারও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে শেষে এক বছরের জন্য স্থগিত করার মতো ঘটনা ঘটে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
রাইজিংবিডিতে সংবাদ প্রকাশ: ডেরা রিসোর্টের লাইসেন্স বাতিল
মানিকগঞ্জের ঘিওরের বালিয়াখোড়ায় অবস্থিত ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের নানা অনিয়ম নিয়ে রাইজিংবিডিতে ‘কবরস্থানে হরিণের খামারসহ নানা অনিয়মের আখড়া ডেরা রিসোর্ট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিল করেছে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ডেরা রিসোর্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সহকারী নিয়ন্ত্রক (সিনিয়র সহকারী সচিব) শেখ রাশেদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনা পত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টার ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর লাইসেন্স প্রাপ্তির আবেদন করেন। নানা অনিয়মের কারণে তাদের লাইসেন্স নামঞ্জুর করা হয়েছে। রিসোর্টের লাইসেন্স না থাকায় প্রশাসনকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০২৫ সালের ১৪ জানুয়ারি ‘ফসলি জমি দখল করে ডেরা রিসোর্ট নির্মাণ, বিপাকে কৃষক’; ১৯ মার্চ ‘ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ডেরা রিসোর্ট, তদন্ত কমিটি গঠন’ শিরোনামে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে রাইজিংবিডি। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ‘কবরস্থানে হরিণের খামারসহ নানা অনিয়মের আখড়া ডেরা রিসোর্ট’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ডেরার লাইসেন্স নামঞ্জুর করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ইন্তাজ উদ্দিন বলেন, “অনলাইন নিউজ পোর্টাল রাইজিংবিডিতে ডেরা রিসোর্ট নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও ভোগান্তি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদক অনুসন্ধান করে ডেরা রিসোর্টের নানা অনিয়ম তুলে এনেছেন। প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রশাসন লাইসেন্স বাতিল করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে এটি ভালো উদ্যোগ। তবে এসব নির্দেশনা কাগজে কলমের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তবায়ন করাটাই বড় কাজ। নির্দেশনা বাস্তবায়ন হলে সুশাসন নিশ্চিত হবে।”
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, “মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার কপি পেয়েছি। সে অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের ব্যবস্থাপক ওমর ফারুক বলেন, “লাইসেন্সের বিষয়ে কোন নোটিশ এখনও পাইনি আমরা। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিষয়েও জানা নেই। যদি লাইসেন্স বাতিল করে থাকে, তাহলে আমরা আইনিভাবে বিষয়টি সমাধান করব।”
এ বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে এশিউর গ্রুপের অঙ্গসংগঠন ডেরা রিসোর্ট এন্ড স্পা সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ সাদীর মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ঢাকা/চন্দন/এস