পঞ্চগড়ে মেডিকেল কলেজ স্থাপনের দাবিতে বিক্ষোভ ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি
Published: 27th, April 2025 GMT
চীনের অর্থায়নে প্রস্তাবিত এক হাজার শয্যার হাসপাতাল স্থাপন এবং সরকারি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবিতে পঞ্চগড়ে বিক্ষোভ ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে পঞ্চগড় জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে ‘পঞ্চগড় জেলাবাসী’র ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি পাঠানোর জন্য গণস্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করেন। আয়োজকেরা জানান, এ কর্মসূচি আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে।
বক্তব্য দেন সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের সদস্য মো.
বক্তারা আরও বলেন, চীনের অর্থায়নে দেশের উত্তরাঞ্চলে যে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের কথা রয়েছে, তা পঞ্চগড়ে স্থাপন করতে হবে। পাশাপাশি পঞ্চগড়ে একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবি জানান বক্তারা। এই দাবিতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।