চীনের অর্থায়নে প্রস্তাবিত এক হাজার শয্যার হাসপাতাল স্থাপন এবং সরকারি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবিতে পঞ্চগড়ে বিক্ষোভ ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে পঞ্চগড় জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে ‘পঞ্চগড় জেলাবাসী’র ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি পাঠানোর জন্য গণস্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করেন। আয়োজকেরা জানান, এ কর্মসূচি আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে।

বক্তব্য দেন সম্মিলিত স্বেচ্ছাসেবী ফোরামের সদস্য মো.

সানাউল্লাহ, মানিক উদ্দিন, ফাতেমা তুজ জোহরা প্রমুখ। বক্তারা বলেন, পঞ্চগড়ের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাসেবায় অবহেলার শিকার। এখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসাসুবিধা না থাকায় অনেক রোগীকে রংপুর বা দিনাজপুরে পাঠানো হয় এবং পথেই অনেকের মৃত্যু হয়।

বক্তারা আরও বলেন, চীনের অর্থায়নে দেশের উত্তরাঞ্চলে যে এক হাজার শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের কথা রয়েছে, তা পঞ্চগড়ে স্থাপন করতে হবে। পাশাপাশি পঞ্চগড়ে একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবি জানান বক্তারা। এই দাবিতে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফোনে খালেদা জিয়া বললেন, ‘ভাই, জিয়াকে ড্রয়িংরুমে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’

৭৫-এর উত্তপ্ত নভেম্বর

শেখ মুজিব হত্যার পর বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ছিল দ্বিধাগ্রস্ত এবং দেশ প্রতিদিন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এদিকে খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা সর্বজনাব নজরুল ইসলাম তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও আবদুস সামাদ আজাদকে আটক করেন এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করে রাখেন। বাতাসে প্রতিনিয়ত নানা গুজব উড়ছিল ও সাধারণ নাগরিকগণ ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। সেনানিবাসেও অস্থিরতা বিরাজ করছিল এবং ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে, নিজেদের মধ্যে যে-কোনো সময়ে সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আর্মিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি ছিল।

পদাতিক বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে ঢাকা ব্রিগেডের ১ম, ২য় ও ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসারগণ মেজর ফারুক, রশিদ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছিল এবং আর্মির চেইন অফ কমান্ড পুনঃস্থাপনের জন্য তৎকালীন ব্রিগেড অধিনায়ক কর্নেল শাফায়াত জামিলও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তাঁর অধীনস্থ অফিসার ও সৈন্যগণই তাঁর সার্বিক কর্তৃত্ব উপেক্ষা করে শেখ মুজিব হত্যায় জড়িত ছিল। এ পরিস্থিতিতে সেনাসদরে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফও সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা বলে উত্তেজিত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।

মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.) বীরবিক্রম

সম্পর্কিত নিবন্ধ