নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির, সম্পাদক মঞ্জুর এলাহী
Published: 27th, April 2025 GMT
নরসিংদী জেলা বিএনপির কাউন্সিলে খায়রুল কবির (খোকন) সভাপতি এবং মঞ্জুর এলাহী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে তাঁরা নির্বাচিত হন। এতে ভার্চ্যুয়ালি প্রধান অতিথি ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
রোববার দুপুরে বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। খায়রুল কবির ও মঞ্জুর এলাহী জেলা কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল ২৬ এপ্রিল বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে নরসিংদী বিএনপির সব উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে কাউন্সিল করে তাঁদের গোপন মতামতের ভিত্তিতে খায়রুল কবিরকে সভাপতি ও মঞ্জুর এলাহীকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। ফলাফল ঘোষণা করেন ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ছায়েদুল আলম (বাবুল)।
বিএনপির নেতা–কর্মীরা বলছেন, কাউন্সিলে খায়রুল কবির ছাড়া সভাপতি পদে মনোহরদী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সরদার সাখাওয়াত হোসেন ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে মঞ্জুর এলাহী ছাড়াও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনুর রশিদ ও জেলা যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসাইন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নবনির্বাচিত সভাপতি খায়রুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘তৃণমূলের নেতারা মূল্যায়ন করেছেন। আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা সবাই মিলে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে কাজ করব।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি