৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ: সাবেক এমপি কাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 27th, April 2025 GMT
৪ কোটি ৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
একইসঙ্গে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার স্ত্রী সালিহা সিদ্দিকা শিফার সম্পদের হিসাব দিতে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরো পড়ুন:
এস আলমের ১০১৪ বিঘা জমি জব্দের আদেশ
এনআইডির সাবেক ডিজি সাহেলেরই এনআইডি ব্লকের নির্দেশ
মামলার এজাহারে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করার মাধ্যমে সাবেক এমপি কাজিম উদ্দিন আহমেদ ৪ কোটি ৭ লাখ ৩১ হাজার ৩১৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তার নামে ১৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪০ কোটি ৭৬ লাখ ১৬ হাজার ৫২৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়।
তার বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
অন্যদিকে, কাজিম উদ্দিনের স্ত্রী সালিহা সিদ্দিকা শিফার নামে ৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদসহ তার নামে ও বেনামে আরো সম্পদ থাকার সম্ভাবনা থাকায় তার প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(১) ধারা অনুযায়ী সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শেরপুর নির্বাচন অফিসে রোহিঙ্গা আটক
শেরপুর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে এক রোহিঙ্গা আটক হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আটকের পর তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা।
আটক ব্যক্তির নাম মো. আমিন। তিনি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নাম জাহিদ হোসেন।
আরো পড়ুন:
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থায়ী প্রত্যাবাসনে ‘বাস্তব পদক্ষেপ’ চায় ওআইসি
৪০ দেশের প্রতিনিধিদের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আলম মিয়া নাম ব্যবহার করে উখিয়ার টাংহালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যক্তি এনআইডি করতে শেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসে আবেদন করেন। সেখানে তিনি বাবার নাম আলী হোসেন উল্লেখ করেন এবং শেরপুর পৌরসভার কসবা মোল্লাপাড়া ও শিবুত্তর এলাকার বাসিন্দা হিসেবে দাবি করেন। কথাবার্তা ও নথিপত্র যাচাইয়ের সময় সন্দেহ হলে কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।
শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “তার কাগজপত্র দেখে আমাদের সন্দেহ হয়। তার ভাষাগত বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি নিজেকে রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন।”
আটক মো. আমিন বলেন, “আমি কক্সবাজারের উখিয়ার টাংহালি ক্যাম্পে থাকি। এ দেশের নাগরিক হওয়ার আশায় ভোটার আইডি কার্ড করতে শেরপুরে এসেছিলাম। কাজের জন্য পরিচয়পত্র পেলে সুবিধা হবে ভেবেই আলম নামে আবেদন করেছি।”
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম খান বলেন, “রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার সঙ্গে স্থানীয় কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।”
ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ