পতনের ধারা থেকে ঘুরে দাঁড়াল শেয়ারবাজার
Published: 27th, April 2025 GMT
লাগাতার পতনের ধারা থেকে হঠাৎ উল্টোমুখী হয়েছে শেয়ারবাজার। টানা দশম দিনে ব্যাপক দর পতনে দিনের লেনদেন শুরু হয়েছিল। দুপুর ১২টায় তালিকাভুক্ত ৫৮ কোম্পানির শেয়ারের দরবৃদ্ধির বিপরীতে ২৭৮টির দর পতনে লেনদেন চলছিল। দুপুর আড়াইটায় দিনের লেনদেন শেষ হয় ৯৯ শেয়ারের দরহ্রাসের বিপরীতে ২৩৫টির দরবৃদ্ধি দিয়ে।
নাটকীয় এ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিনিয়োগ সংস্থা আইসিবির আগ্রাসী শেয়ার ক্রয় বড় ভূমিকা রেখেছে বলে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে। আইসিবির একটি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবারের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম টাকার শেয়ার কেনা হয়েছে। এদিন কোনো শেয়ার বিক্রি করা হয়নি।
ডিএসইর লেনদেন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৫৮ পয়েন্ট হারিয়ে ৪৯১৪ পয়েন্টে নামে। দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত সূচকটি ৪৯২০ পয়েন্টের নিচেই অবস্থান করছিল। এর পর ক্রমাগত কিছু শেয়ারের দরবৃদ্ধি বাজারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। দুপুর সোয়া ২টায় সূচকটি দিনের সর্বনিম্ন অবস্থা থেকে ১০০ পয়েন্ট বেড়ে ৫০১৫ পয়েন্ট ছুঁইছুঁই অবস্থানে উঠে যায়। তবে শেয়ারদরের সমাপনী মূল্যের হিসাবে প্রায় ২৩ পয়েন্ট বেড়ে ৪৯৯৫ পয়েন্টে থামে।
যেসব শেয়ারের দর ব্যাপকভাবে ঘুরেছে সেগুলোর অন্যতম হলো– খুলনা প্রিন্টিং, নিউ লাইন ক্লোথিংস, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, সেন্ট্রাল ফার্মা, কেয়া কসমেটিক্স। সম্পূর্ণ বা আংশিক বন্ধ এসব কোম্পানির শেয়ারের দর শুরুতে ৫ থেকে প্রায় ১০ শতাংশ পতনের পর শেষে ৮ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সূচকের পতন ঠেকিয়ে ঊর্ধ্বমুখী করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে ইসলামী ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, লাফার্জ-হোলসিম, স্কয়ার ফার্মা, বসুন্ধরা পেপারসহ বেশ কিছু ব্যাংক কোম্পানির শেয়ার।
দিনের লেনদেন শেষে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এদিন ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ৩৯৭ কোম্পানির শেয়ার ও ফান্ডের মধ্যে ৩৯৬টির কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩৫টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯৭টির এবং অপরিবর্তিত থেকেছে ৬২টির।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র শ য় র র দর র ল নদ ন র পতন
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।
ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।
আরো পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।
যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।
লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।
বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।
ঢাকা/আমিনুল