Prothomalo:
2025-11-03@21:22:23 GMT

ওষুধ হিসেবে মেলাটোনিন কেমন

Published: 28th, April 2025 GMT

শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। একজন সুস্থ মানুষের দৈনিক ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। ঘুমের সমস্যা সমাধানের জন্য অনেকেই মেলাটোনিন নামক হরমোন ওষুধ খান। মেলাটোনিন ‘ওভার দ্য কাউন্টার’ ওষুধ, মানে প্রেসক্রিপশন ছাড়াও কেনা যায়। তাই অনেকেই নিজে নিজে কিনে খান। জেনে নিন ওষুধ হিসেবে মেলাটোনিন সম্পর্কে নানা তথ্য।

মেলাটোনিন প্রাকৃতিক হরমোন, ঘুমের চক্র নিয়ন্ত্রণে এর আছে বিশেষ ভূমিকা। এ ছাড়া শরীরের তাপমাত্রা ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। বাজারে বিভিন্ন নামে মেলাটোনিন ওষুধ পাওয়া যায়। অন্যান্য ঘুমের ওষুধের চেয়ে মেলাটোনিন ওষুধ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত এবং অন্যান্য ঘুমের ওষুধ সেবনের ফলে নেশা হওয়ার প্রবণতা থাকে, মেলাটোনিনে সে আশঙ্কা নেই বললেই চলে।

আরও পড়ুনওষুধ ছাড়া ভালো ঘুমাতে যা করবেন১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪মেলাটোনিন ওষুধ খাওয়ার নিয়ম

শুরু করতে হবে অল্প পরিমাণে।

সাধারণত ২-৩ মিলিগ্রাম মেলাটোনিন ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে খেতে হবে।

ঘুমের চক্র ঠিক করার জন্য খেতে হলে ১৩ সপ্তাহের বেশি খাওয়া যাবে না।

কিছু কিছু রোগের জন্য দীর্ঘদিন মেলাটোনিন খেতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।

দীর্ঘ সময় বিমানভ্রমণ করলে মাঝেমধ্যে কিছু শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয়, তা দূর করার জন্য মেলাটোনিন খেলে পাঁচ দিন খাওয়া ভালো। তবে সেসব ক্ষেত্রে বছরে ১৬ বারের বেশি খাওয়া যাবে না।

ওষুধ ছাড়া প্রাকৃতিক উপায়ে মেলাটোনিন বাড়ানোর উপায় দিনে না ঘুমানোই ভালো.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ