আর্থিক লেনদেন বিষয়ে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদনে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে ২৬ এপ্রিল একটি সংবাদ বিবৃতি পাঠায় বিসিবি। সেই বিবৃতি থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মিডল্যান্ড ব্যাংক সম্পর্কে ‘বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন’ তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ব্যাংকটি। এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে মিডল্যান্ড ব্যাংক।

বিসিবি কর্তৃক প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয় দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। প্রথম আলোয় প্রকাশিত এ প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল, ‘ফারুক আহমেদের ২৫০ কোটি টাকা সরানো বিষয়ে বিসিবির ব্যাখ্যা’, যেটি বিসিবির বিবৃতি অনুসরণ করেই করা হয়েছে।  

বিসিবির বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, আর্থিক স্বার্থ সংরক্ষণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করে বিসিবি তার ব্যাংকিং সম্পর্কগুলো পুনর্মূল্যায়ন করেছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত ‘গ্রিন’ ও ‘ইয়েলো’ তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেনে যুক্ত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো থেকে ২৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে ২৩৮ কোটি টাকা ‘গ্রিন’ ও ‘ইয়েলো’ তালিকার ব্যাংকগুলোতে পুনর্বিনিয়োগ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছিল বিসিবি।

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর থ ক

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়ায় যুবদল নেতা বহিষ্কার

সিলেটের গোয়াইনঘাটের পর্যটনকেন্দ্র জাফলং পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

যুবদলের কেন্দ্রীয় সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জাহিদকে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়। আজ রোববার সকালে বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি মোমিনুল ইসলাম।

মোমিনুল ইসলাম বলেন, উপদেষ্টাদের গাড়িবহর আটকে বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় জাহিদকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে জাহিদের প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ তাঁকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বহিষ্কৃত জাহিদের কোনো ধরনের অপকর্মের দায়ভার সংগঠন নেবে না। একই সঙ্গে যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে তাঁর সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনজাফলংয়ে দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভ, নেতৃত্বে ছাত্রদল, যুবদল১০ ঘণ্টা আগে

দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে বালু-পাথর ব্যবসায়ী-শ্রমিকদের বিক্ষোভে বিএনপির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও শ্রমিক দলের স্থানীয় কয়েকজন নেতাকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়।

সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে বলেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রদলের স্থানীয় কয়েকজন নেতা বিক্ষোভে জড়িত ছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানানো হয়েছে। রোববার তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

আরও পড়ুনসিলেটে দুই উপদেষ্টার গাড়িবহর আটকে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, পাথর কোয়ারি চালুর দাবি১৮ ঘণ্টা আগে

গতকাল শনিবার সকালে জাফলং এলাকা পরিদর্শনে যান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ফেরার পথে গোয়াইনঘাটের বল্লাঘাট এলাকায় তাঁদের গাড়িবহর আটকে দেন বালু-পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা। তাঁরা বন্ধ থাকা জাফলংসহ সিলেটের পাথরকোয়ারিগুলো চালুর দাবিতে স্লোগান দেন, বিক্ষোভ করেন।

একাধিক ছবি ও ভিডিওতে উপদেষ্টাদের গাড়ি আটকে বিএনপির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন যুবদল, ছাত্রদল ও শ্রমিক দলের কয়েকজন স্থানীয় নেতাকে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। বিক্ষোভে নেতৃত্বে ছিলেন পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আজিজ উদ্দিন, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সুমন শিকদার, জেলা ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আবদুল জলিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রমজান মোল্লা ও আজকে বহিষ্কৃত হওয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খান।

এ বিষয়ে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের যাঁরা উপদেষ্টাদের গাড়িবহর আটকে দিয়ে সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করেছেন, তাঁদের শনাক্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ