জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘দেশকে, মানুষকে ভালোবাসলে কেউ পালিয়ে যায় না। জামায়াত নেতারা তা প্রমাণ করেছেন’। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘মাওলানা আব্দুস সুবহান রহ.: তৃণমূল থেকে শীর্ষে’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেছেন জামায়াত আমির। 

শফিকুর রহমান বলেন, মাওলানা আব্দুস সুবহান চাইলে বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি তার জন্মভূমি ছেড়ে যেতে রাজি হননি। দেশপ্রেমে তিনি ছিলেন অটল। জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলী অস্ট্রেলিয়ায় ছিলেন। বন্ধুরা তাকে বাংলাদেশে যেতে নিষেধ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে গেলে কী হবে?’ তার বন্ধুরা বলেছিলেন, ‘আপনারও একই অবস্থা হতে পারে’। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘মৃত্যুর কাছে দাঁড়িয়ে বলব আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে, সেসব মিথ্যা’। মীর কাসেম আলী দেশ ও মানুষকে ভালোবাসতেন বলেই ফিরে এসেছিলেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জামায়াত আমির বলেন, মাওলানা আব্দুস সুবহানের মতো উদারতা ও সাহসিকতা অর্জন করতে হবে। জাতির স্বার্থে দল-মত নির্বিশেষে আমরা ঐক্যবদ্ধ। ব্যক্তিগতভাবে কেউ পরাজিত হতে পারে, কিন্তু সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে এ জাতি বিজয়ী হবে।

আবদুস সুবহান সম্পর্কে শফিকুর রহমান বলেন, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অবস্থায় তিনি কনডেম সেলে ছিলেন। কিন্তু তার মধ্যে ভয় বা অস্থিরতা ছিল না। জেলের অন্য বন্দিরাও তাকে সম্মান করতেন এবং বলতেন, ‘এমন একজন মানুষকে জেলে দেখতে কষ্ট হয়।’

অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, জুলাই বিপ্লবের বিতাড়িত সরকার আব্দুস সুবহানকে অপমানিত করতেই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামি করেছিল। আজ সেই আওয়ামী লীগই অপমানিত হয়ে দেশ থেকে পালিয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গোলাম কবির হাক্কানী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড.

হেলাল উদ্দিন, শামীম সাঈদী, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন এবং ডিইউজের সভাপতি শহীদুল ইসলাম।

মাওলানা আব্দুস সুবহান ছিলেন পাবনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং জামায়াতের নায়েবে আমির। ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিলো ৮৪ বছর।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ম য় ত র আম র জ ম য় ত আম র র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই অভ্যুত্থান উদযাপনে ডিএসসিসির সাইকেল র‌্যালি

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান উদযাপন উপলক্ষে জুলাই মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) সাইকেল র‌্যালির আয়োজন করেছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর থেকে সাইকেল র‌্যালিটি শুরু হয়ে ঢাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নগর ভবনে এসে শেষ হয়।ডিএসসিসির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার উপস্থিতিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব-উল-আলম র‌্যালির উদ্বোধন করেন।

এদিন সকাল সাড়ে ৭টায় রবীন্দ্র সরোবর থেকে শুরু হওয়া এ র‌্যালিতে ১৯০ জন সাইক্লিস্টস এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নগরবাসী অংশগ্রহণ করেন।

আরো পড়ুন:

ঢাবির সিনেটে ৫ অধ্যাপককে নিয়োগ দিলেন রাষ্ট্রপতি

ডাকসুর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ

প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে জনগণকে সম্পৃক্ত করে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য করার জন্য সরকারের পাশাপাশি প্রত্যেক নাগরিককে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।”

ডিএসসিসি প্রশাসক বলেন, “ঢাকাকে আগামী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য করতে হলে পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।”

পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে সম্ভব নয় উল্লেখ করে প্রশাসক এ বিষয়ে নাগরিকদের সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতা কামনা করেন।

র‌্যালি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামসহ সব বিভাগীয় প্রধান এবং ঢাকা ব্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ