দেশে ক্যানসার শনাক্তে জিন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। এতে ঠিকভাবে ক্যানসার শনাক্ত সম্ভব হবে। পাশাপাশি বাজারে আছে দেশে উৎপাদিত ক্যানসারের ওষুধ। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই দুইয়ের সমন্বয়ে দেশে ক্যানসার চিকিৎসায় নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে।

২৪ এপ্রিল আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) জিনোম সিকোয়েন্সিং–ভিত্তিক ক্যানসার শনাক্ত শুরু করেছে। অল্প সময়ে ক্যানসার শনাক্তের প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। এ ছাড়া কোনো ওষুধ ক্যানসারের ক্ষেত্রে অকার্যকর হয়ে থাকলে, তা–ও রোগীকে জানিয়ে দেবে আইসিডিডিআরবি।

দেশে কত মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের একটি সমীক্ষা বলছে, দেশের এক লাখ মানুষের মধ্যে ১০৬ জনের কোনো না কোনো ক্যানসার আছে। অন্যদিকে ক্যানসারের ওপর নজরদারি করা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান গ্লোবোক্যান বলছে, বাংলাদেশে প্রতিবছর ১ লাখ ৬৭ হাজার মানুষ নানা ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হন। আর প্রতিবছর ক্যানসারে মারা যান ১ লাখ ১৭ হাজার মানুষ।

বাংলাদেশে ক্যানসার চিকিৎসার একটি বড় দুর্বলতা হচ্ছে, দেশে ঠিকভাবে রোগ শনাক্ত হয় না। অনেক জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক দেশের রোগ শনাক্তের প্রতিবেদনে আস্থা রাখেন না। অনেক রোগীকে ক্যানসার পরীক্ষার জন্য বিদেশে নমুনা পাঠাতে হয়। এতে রোগনির্ণয় প্রতিবেদন পেতে বিলম্ব হয় এবং প্রক্রিয়াটি ব্যয়বহুল। অনেক ক্ষেত্রে প্রতিবেদন নির্ভরযোগ্য হয় না।

বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) জিনোম সিকোয়েন্সিং–ভিত্তিক ক্যানসার শনাক্ত শুরু করেছে। অল্প সময়ে ক্যানসার শনাক্তের প্রতিবেদন পাওয়া যাবে। এ ছাড়া কোনো ওষুধ ক্যানসারের ক্ষেত্রে অকার্যকর হয়ে থাকলে, তা–ও রোগীকে জানিয়ে দেবে আইসিডিডিআরবি।

কী নতুন প্রযুক্তি

ক্যানসার–বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমান যুগে তিনভাবে বা তিন ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্যানসার শনাক্ত হয়। ইমিউনোহিস্টো কেমিস্ট্রি (আইএইচসি), রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (আরটি–পিসিআর) টেস্ট এবং নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং (এনজিএস)। তিনটিই স্বীকৃত পদ্ধতি। ঠিকভাবে ব্যবহৃত হলে সব কটি থেকে সঠিক রোগ শনাক্ত সম্ভব।

ক্যানসার শনাক্তে আইএইচসি পরীক্ষা বাংলাদেশে বেশি হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তে আরটি– পিসিআর টেস্টের ব্যবহার করোনা মহামারির সময় বেশি হতে দেখা গেছে। তবে এটি ক্যানসার শনাক্তেও ব্যবহার করা হয়।

জিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে বা এনজিএসের মাধ্যমে ক্যানসার শনাক্তের কাজটি দেশে একেবারে নতুন নয়। একাধিক চিকিৎসক বলেছেন, দেশে দু–একটি পরীক্ষা হয়েছে। মূলত বিদেশ থেকে এনজিএস প্রযুক্তির মাধ্যমে নমুনা পরীক্ষা করে আনা হয়। এতে খরচ অনেক বেশি পড়ে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, কোষে থাকা জিনের মিউটেশনের (রূপান্তর) কারণে ক্যানসার হয়। মিউটেশন হওয়া কোষগুলো নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়তে থাকে। মানুষের শরীরে থাকা কোটি কোটি জিনের মধ্যে ঠিক কোনটিতে এই মিউটেশন হয়েছে, তা এনজিএস প্রযুক্তিতে শনাক্ত করা সম্ভব। একবার শনাক্ত হলে সেই জিনকে লক্ষ্য রেখে ক্যানসারের চিকিৎসা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের ক্যানসার রোগীদের জন্য আইসিডিডিআরবির এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রযুক্তি জিন মিউটেশন শনাক্ত করে, যার মাধ্যমে সঠিক চিকিৎসা অর্থাৎ টার্গেটেড থেরাপি দেওয়া সম্ভব হয়। এতে রোগী অপ্রয়োজনীয় চিকিৎসা এড়াতে পারেন। এটিই ক্যানসার চিকিৎসার নতুন দিগন্ত।অধ্যাপক সৈয়দ আকরাম হোসেন

আইসিডিডিআরবির জিনোম সেন্টারের প্রধান মো.

মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, অত্যাধুনিক এনজিএস যন্ত্র, আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতি ও বিদেশে প্রশিক্ষণ পাওয়া জনবল আমাদের আছে। আমরা আন্তর্জাতিক ও সর্বোচ্চ গুণমান নিশ্চিত করে নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং–ভিত্তিক ক্যানসার শনাক্তের সক্ষমতা অর্জন করেছি। আমরা ক্যানসার চিকিৎসক ও রোগীকে ঠিক সময়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন দিতে পারব। আমাদের উদ্যোগ ক্যানসার চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি।’

আইসিডিডিআরবির কাগজপত্র বলছে, তারা নমুনা পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পারবে। এই নমুনা মহাখালী, মিরপুর, মতিঝিল, ধানমন্ডি, উত্তরা, নিকেতন, গুলশান ও বারিধারার আইসিডিডিআরবির ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বুথে জমা দেওয়া যাবে। ক্যানসার ভেদে নমুনা পরীক্ষার ফি ১১ হাজার টাকা থেকে ৩৪ হাজার টাকা।

এনজিএস প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্যানসার শনাক্তের যে প্রতিবেদন পাওয়া যাবে, সেখানে চিকিৎসাবিষয়ক বাড়তি তথ্যও থাকবে। যেমন শনাক্ত হওয়া ক্যানসার কোন কোন ওষুধে ভালো হয় না বা ঠিকভাবে কাজ করে না, তার একটি তালিকা থাকবে প্রতিবেদনে। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই তালিকা তৈরি করা হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স–এআই) ব্যবহার করে। তাতে ওষুধের অকার্যকারিতার প্রামাণ্য সূত্র থাকে। এতে রোগীর জন্য ওষুধ নির্বাচন চিকিৎসকের পক্ষে সহজ হয়।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য খাতবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য ও স্কয়ার হাসপাতালের ক্যানসার সেন্টারের সমন্বয়কারী অধ্যাপক সৈয়দ আকরাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশের ক্যানসার রোগীদের জন্য আইসিডিডিআরবির এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রযুক্তি জিন মিউটেশন শনাক্ত করে, যার মাধ্যমে সঠিক চিকিৎসা অর্থাৎ টার্গেটেড থেরাপি দেওয়া সম্ভব হয়। এতে রোগী অপ্রয়োজনীয় চিকিৎসা এড়াতে পারেন। এটিই ক্যানসার চিকিৎসার নতুন দিগন্ত।

প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, অত্যাধুনিক এনজিএস যন্ত্র, আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতি ও বিদেশে প্রশিক্ষণ পাওয়া জনবল আমাদের আছে। আমরা আন্তর্জাতিক ও সর্বোচ্চ গুণমান নিশ্চিত করে নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং–ভিত্তিক ক্যানসার শনাক্তের সক্ষমতা অর্জন করেছি। আমরা ক্যানসার চিকিৎসক ও রোগীকে ঠিক সময়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিবেদন দিতে পারব। আমাদের উদ্যোগ ক্যানসার চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি।আইসিডিডিআরবির জিনোম সেন্টারের প্রধান মো. মোস্তাফিজুর রহমান

সঙ্গে আছে ওষুধ

গত তিন দশকে বাংলাদেশের ওষুধশিল্পের লক্ষণীয় অগ্রগতি ও উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি বলছে, দেশের প্রয়োজনীয় ওষুধের ৯৮ শতাংশ এখন দেশেই তৈরি হয়। একাধিক ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে—বিকন, এসকেএফ, ইনসেপ্টা, হেলথকেয়ার, স্কয়ার, বেক্সিমকো, জিসকা, এভারেস্ট, রেনেটাসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ক্যানসারের ওষুধ তৈরি করে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ক্যানসারের ওষুধ কিছু কোম্পানি বিদেশেও রপ্তানি করছে। দেশে তৈরি ক্যানসারের ওষুধ নিয়মিত বাজারে আসছে। এতে ক্যানসারের কিছু ওষুধের দাম কমে আসার প্রবণতা দেখা গেছে।

বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং) এস এম মাহমুদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো বিদেশে ক্যানসারের ওষুধ রপ্তানি করে, এটি সাফল্যের একটি দিক। আবার বিদেশ থেকে অনেকে বাংলাদেশে এসে ক্যানসারের ওষুধ কিনে নিয়ে যান, এমন নজিরও আছে। তারা মনে করেন, কিছু ক্যানসারের ওষুধের দাম বাংলাদেশে কম।

প্রয়োজনের তুলনায় কম হলেও একদিকে দেশে ক্যানসার শনাক্তের নির্ভুল পরীক্ষা–নিরীক্ষার প্রসার ঘটছে। অন্যদিকে ক্যানসারের ওষুধও সহজলভ্য হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পরীক্ষা–নিরীক্ষা ও ওষুধ আরও সহজপ্রাপ্য হওয়ার পাশাপাশি প্রশিক্ষিত জনবল ও চিকিৎসাকেন্দ্র বাড়ানো দরকার। এ ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগ সমানভাবে প্রয়োজন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ক্যানসারের ওষুধ কিছু কোম্পানি বিদেশেও রপ্তানি করছে। দেশে তৈরি ক্যানসারের ওষুধ নিয়মিত বাজারে আসছে। এতে ক্যানসারের কিছু ওষুধের দাম কমে আসার প্রবণতা দেখা গেছে।

সার্ক ফেডারেশন অব অনকোলজির মহাসচিব মোস্তফা আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, ক্যানসারের মতো জটিল রোগ সঠিকভাবে শনাক্ত হওয়া এবং চিকিৎসার ওষুধ হাতের কাছে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখন সবাই মিলে রোগ শনাক্তের পরিধি আরও বাড়ানো, ওষুধ আরও সহজলভ্য করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এসব করা গেলে দেশে ক্যানসার চিকিৎসা উন্নত হবে বলে আশা করা যায়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আইস ড ড আরব র স ড ড আরব র প রথম আল ক ব যবহ র কর চ ক ৎসক র জন য পর ক ষ আম দ র র একট

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ