ফোনের ‘ব্লু লাইট’ যেভাবে ঘুমের ক্ষতি করে
Published: 30th, April 2025 GMT
আমরা অনেকেই রাতে ঘুমানোর আগে ফোন ব্যবহার করি অথবা টেলিভিশন দেখি। এগুলোর ব্লু লাইট আমাদের ঘুম ক্ষতিগ্রস্ত করে। ধীরে আমাদের ব্রেনের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। মনোযোগের ঘাটতি তৈরি হয়। আমরা শারীরিকভাবে দুর্বল অনুভব করতে শুরু করি। এরজন্য বিশেষভাবে দায়ী ফোনের ব্লু লাইট। বিশেষজ্ঞরা ব্লু লাইটের ক্ষতি থেকে বাঁচার উপায় জানিয়েছেন।
আই ট্রাস্ট নেটওয়ার্কের তথ্য, রাতে দীর্ঘক্ষণ ধরে ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকলে শরীর পরের দিনের জন্য প্রস্তুত বোধ করে না। নীল আলোর সংস্পর্শে মস্তিষ্ক বিভ্রান্ত হয়। কারণ এই আলো সূর্যের আলোর মতো উজ্জ্বল। ফলে মস্তিষ্ক মেলাটোনিন উৎপাদন বন্ধ করে দেয়, এটি এমন একটি হরমোন যা শরীরকে ঘুমের ইঙ্গিত দেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘‘সন্ধ্যার পর যখন আমরা ব্লু লাইট দেখি, তখন ব্লু লাইটের সিগন্যালটা ব্রেনে ঢুকে পিটুইটারি গ্ল্যান্ডে যায়। বা আমাদের ব্রেনে যায়। যেখানে কিনা মেলাটোনিন হরমোন আছে।’’
আরো পড়ুন:
কাজ নাকি কাজের ‘রেজাল্ট’কে প্রাধান্য দেবেন?
৮ মিনিটের ‘পাওয়ার ন্যাপ’ শরীরে যা ঘটায়
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ , রাতে মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। আর যদি মোবাইল বা টিভি স্ক্রিন দেখিও আমাদেরকে রেড লাইট ফিল্টার ইউজ করতে হবে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’