তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করার ইচ্ছার কথা অস্বীকার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান অনুযায়ী, দেশটিতে কেউই দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে পারেন না। রোববার সংবাদমাধ্যম এনবিসির ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

ফ্লোরিডায় নিজ বাসভবন থেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আট বছরের প্রেসিডেন্ট হবো। দুই মেয়াদের প্রেসিডেন্ট হবো। আমি সব সময় এটাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করি।’

এর আগে ৭৮ বছর বয়সী এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট তৃতীয় কিংবা চতুর্থ মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার ইচ্ছার কথা বলেছিলেন। দাবি করেছিলেন তিনি, ‘মজা করছেন না’। পরে অবশ্য তিনি বলেছিলেন, তাঁর এসব কথার উদ্দেশ্য ছিলো ‘ভুয়া সংবাদমাধ্যমকে’ ট্রল করা।

প্রেসিডেন্টের কোম্পানি ‘দ্য ট্রাম্প অর্গানাইজেশন’ আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে এখন থেকেই ‘ট্রাম্প ২০২৮’ লেখা হ্যাট বিক্রি করছে। এতে ২০২৯ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালনের দ্বিতীয় মেয়াদ শেষের পর তিনি আবার প্রেসিডেন্ট থাকার চেষ্টা করতে পারেন বলে জল্পনা বাড়ছে।

আরও পড়ুনতৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থিতা নিয়ে রসিকতা করছি না: ট্রাম্প৩১ মার্চ ২০২৫

ট্রাম্প বলেছেন, অনেক মানুষ তাকে অনুরোধ করেছেন, তিনি যেনো আবারও পদে থাকার কথা বিবেচনা করেন।

দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালনের প্রথম ১০০ দিন পূর্তি অনুষ্ঠানের পরদিন ট্রাম্প বলেন, ‘অনেকেই চান আমি আবার দায়িত্বে থাকি। যদিও আমার জানা মতে, এটা করার অনুমতি নেই। এটা সংবিধানসম্মত কি না, তাও নিশ্চিত নই।’

তবে ট্রাম্প সাক্ষাৎকারে বলেছেন, অনেকেই ২০২৮ সালের হ্যাট বিক্রি করছে।

আরও পড়ুনতৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না, শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না ট্রাম্প২৮ জানুয়ারি ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ২২তম সংশোধনী অনুযায়ী, টানা হোক বা না হোক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে কোনো ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুইবার চার বছর মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেন।

এই নিয়ম পাল্টাতে হলে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। আর এটি করতে দেশটির কংগ্রেসের দুই কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন, এবং পরে ৫০টি রাজ্যের তিন-চতুর্থাংশের অনুমোদন লাগবে।

১৭৯৬ সালে জর্জ ওয়াশিংটন দুই মেয়াদের প্রেসিডেন্ট হওয়ার নজির স্থাপন করেছিলেন। ১৯৪০ সালে ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগ পর্যন্ত ১৪০ বছরের বেশি সময় ধরে দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার ধারা বজায় ছিল। রুজভেল্ট এই ধারা ভেঙে তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৪৫ সালে চতুর্থ মেয়াদের কয়েক মাসের মধ্যে তিনি মারা যান। এর ফলে ১৯৫১ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রার্থিতার সীমা সংশোধনের পথ প্রশস্ত হয়।

আরও পড়ুনট্রাম্প কি আসলেই তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন০১ এপ্রিল ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প র স ড ন ট হওয় র প র স ড ন ট পদ

এছাড়াও পড়ুন:

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন ‘এক নেতা এক পদ’ নীতির বাস্তবায়ন দাবি এক নেতার

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ২০ সেপ্টেম্বর। এ উপলক্ষে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সভাপতি পদে লড়ছেন দুজন, সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন। ইতিমধ্যে প্রতীক নিয়ে ভোটের প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা।

সম্মেলনে সভাপতি পদপ্রার্থী ও বর্তমান জেলা বিএনপির সহসভাপতি রুহুল হোসাইন আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের খরমপট্টি এলাকার সমবায় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ‘এক নেতা এক পদ’ নীতি বাস্তবায়নের দাবি তোলেন। তিনি বলেন, দলীয় গঠনতন্ত্রের ১৫ ধারা বাস্তবায়ন না হওয়ায় নেতৃত্বের বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তা কার্যকর করার সুযোগ এসেছে।

রুহুল হোসাইন বলেন, বিভিন্ন ইউনিটের কাউন্সিলরদের কাছ থেকে ইতিমধ্যে দলের ভেতরে নানা অনিয়ম, অগঠনতান্ত্রিক বিষয়গুলো আলোচনায় আসায় তা থেকে বের হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল আলমের উদ্দেশে তিনি বলেন, সাত জেলার দায়িত্বে থাকা একজন কেন্দ্রীয় পদধারী নেতার একই সঙ্গে জেলা সভাপতির দায়িত্ব পালন করা অনিয়ম ও বিভক্তি তৈরি করছে। বলয়কেন্দ্রিক রাজনীতিতে অনেক বর্ষীয়ান ও সম্ভাবনাময় নেতারা অবজ্ঞার শিকার হয়েছেন।

জেলা বিএনপির সহসভাপতি আরও বলেন, সভাপতি পরিবর্তন হলে কিশোরগঞ্জে অনিয়ম কমবে। সদর থেকে সভাপতি নির্বাচিত হলে জেলার বিভিন্ন দাপ্তরিক কার্যক্রমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পৃক্ততা থাকবে। জেলা–উপজেলার নেতা-কর্মীরা নজরে থাকবেন। এতে অনিয়ম কম হবে, যা দলের ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল আলম বলেন, দলীয় গঠনতন্ত্র মেনেই তিনি প্রার্থী হয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আস্থা থাকার কারণেই একাধিক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। শুধু তিনি নন, আরও অনেক নেতা কেন্দ্রীয় পদে থেকেও জেলায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

জেলা বিএনপি জানিয়েছে, প্রায় ৯ বছর পর এবার জেলা বিএনপির সম্মেলন হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে পুরাতন স্টেডিয়ামে মঞ্চ, প্যান্ডেলসহ শহরে শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি বক্তব্য দেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উদ্বোধন করবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সম্মেলনে সভাপতি পদে লড়ছেন রুহুল হোসাইন (ছাতা) ও মো. শরীফুল আলম (আনারস)। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল (ফুটবল), মাজহারুল ইসলাম (রিকশা), শফিকুল আলম রাজন (মাছ) ও সাজ্জাদুল হক (গোলাপ ফুল)।

সম্পর্কিত নিবন্ধ