সোহানদের কাছে পাত্তাই পেল না নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল
Published: 5th, May 2025 GMT
নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে জাতীয় দলের ছায়াদল নিয়ে খেলছে বাংলাদেশ। ‘এ’ দলে জায়গা পাওয়া বাংলাদেশের ১৫ জনের ১৪জনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। ওই দল নিয়ে সিলেটে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ৭ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ।
সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল ৩৪.৩ ওভারে ১৪৭ রান করে অলআউট হয়ে যায়। ওপেনার রিস মারিউ ৫১ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলেন। টপ ও মিডল অর্ডারের পরের চার ব্যাটাররা পুরোপুরি ব্যর্থ হন। তারা শূন্য করে ফিরে যান।
ওপেনার ডেল ফিলিপস ৮ বল খেলে শূন্য করেন। তিনে নামা ম্যাট বয়লি ৩ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি। চারে নামা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ আব্বাস ২ বল খেলে ডাক মারেন এবং পাঁচে নামা অধিনায়ক নিক কেলি ৯ বল খেলে শূন্য রান নিয়ে আউট হন।
নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দল ১৩ রানে হারায় ৪ উইকেট। সেখান থেকে সাতে ব্যাট করতে নামা ডিন ফক্সক্রপ ৬৪ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলে রান সম্মানজনক স্থানে নিয়ে যান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু পেয়েও আউট হয়ে যান ওপেনার নাঈম শেখ ও পারভেজ ইমন। তারা যথাক্রমে ১৮ ও ২৪ রান করেন। ইমন ১২ বল খেলে ছয়টি চারের শটে ওই রান তোলেন। তিনে নামা এনামুল হক বিজয় ৪৫ বলে ৩৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।
বিপিএলের পর দারুণ ডিপিএল মৌসুম কাটানো উইকেটরক্ষক ব্যাটার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন চারে ব্যাট করতে নেমে ৬১ বলে তিন ছক্কা ও এক চারে ৪০ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দেন। তার সঙ্গে অধিনায়ক নুরুল হাসান খেলেন অপরাজিত ২০ রানের ইনিংস। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে বল হাতে খালেদ আহমেদ ও তানভীর ইসলাম তিনটি করে উইকেট নেন। শরিফুল ইসলাম ও এবাদত হোসেন নেন দুটি করে উইকেট।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র ন র ইন বল খ ল উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প
ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিকোলাস মাদুরোর দিন ফুরিয়ে এসেছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। খবর বিবিসির।
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ করতে যাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিবিএস নিউজের ৬০ মিনিটসকে বলেন, “আমার সন্দেহ রয়েছে। আমার মনে হয় না। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করছে।”
আরো পড়ুন:
ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩
নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের
ক্যারিবীয় অঞ্চলে মাদক চোরাচালানের অভিযোগে নৌযানগুলোতে মার্কিন হামলা অব্যাহত থাকার মধ্যে ট্রাম্পের এই মন্তব্য এলো। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রে মাদকের প্রবাহ বন্ধ করার জন্য এই হামলা প্রয়োজনীয়।
ট্রাম্প এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন যে, ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান মাদক বন্ধ করার লক্ষ্যে নয়, বরং ট্রাম্প বিরোধী মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি ‘অনেক কিছু’ সম্পর্কে।
বিবিসির মার্কিন নিউজ পার্টনার সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ক্যারিবীয় ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন হামলায় কমপক্ষে ৬৪ জন নিহত হয়েছে।
সম্প্রতি ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “মার্কিন হামলায় আপনি যেসব নৌযানে বিস্ফোরণ হতে দেখেন, তার প্রতিটিতে অন্তত ২৫ হাজার মাদকদ্রব্য ধ্বংস হয়। এগুলো যুক্তরাষ্ট্রে মাদক সরবরাহের জন্য দায়ী।”
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্থলপথে ভেনেজুয়েলায় হামলার পরিকল্পনা করছে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প তা উড়িয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, “আমি এটা বলতে চাই না যে আমি এটা করব...আমি ভেনেজুয়েলার সাথে কী করব, আমি তা করব কিনা, তা আমি বলব না।”
ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করার অভিযোগ তুলেছেন। অন্যদিকে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর অভিযোগ, নৌযানগুলোতে হামলা চালানোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকায় ‘আধিপত্য বিস্তার’ করার চেষ্টা করছে।
ট্রাম্প জানান, তার সরকার ‘সারা বিশ্ব থেকে’ সন্ত্রাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে ‘আসতে’ দেবে না।
তিনি বলেন, “তারা কঙ্গো থেকে আসে, তারা সারা বিশ্ব থেকে আসে, তারা আসছে, কেবল দক্ষিণ আমেরিকা থেকে নয়। তবে বিশেষ করে ভেনেজুয়েলা- খারাপ। তাদের গ্যাং আছে।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্দিষ্ট করে ভেনেজুয়েলার ‘ট্রেন দে আরাগুয়ার’ নাম উল্লেখ করেন। তিনি এটিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ গ্যাং’ হিসেবে অভিহিত করেন।
জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজে ফিরে আসার পর থেকে, ট্রাম্প প্রশাসন মেক্সিকো এবং ল্যাটিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি মাদক পাচারকারী সংগঠন ও অপরাধী গোষ্ঠীকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ভেনেজুয়েলার ট্রেন দে আরাগুয়া এবং কার্টেল অব দ্য সানস, যেটি যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট মাদুরো ও তার ঘনিষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা পরিচালনা করে। তবে কারাকাস সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ঢাকা/ফিরোজ