জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। হাসনাত আবদুল্লাহর পক্ষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মী আল আমিন খন্দকার বাদী হয়ে সোমবার বিকেলে বাসন থানায় এই মামলা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান।

এর আগে আজ সকালে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার নাজমুল করিম খান বলেন, যে সরকারকে তারা বিদায় করেছেন, সেই সরকারের লোকজনই এই হামলার সঙ্গে জড়িত। তারা নানা ইস্যু তৈরি করার জন্য এই হামলা করেছেন। 

তিনি বলেন, ওই ঘটনার পর থেকে পুলিশের একাধিক দল হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করতে অভিযান পরিচালনা করছে। এখন পর্যন্ত ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শরীয়তপুরে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীর পোস্টার লাগানোর ভিডিও ফেসবুকে

শরীয়তপুরে রাতের আঁধারে এক ব্যক্তি আওয়ামী লীগের পক্ষে বিভিন্ন দেয়াল ও বিদ্যুতের খুঁটিতে পোস্টার লাগাচ্ছেন, এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি–সংবলিত এসব পোস্টার লাগানোর দৃশ্য গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়ায়। ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে।

এদিকে পোস্টার লাগানো ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করার দাবি করেছে পুলিশ। তাঁর নাম সাজিট মোল্যা। তিনি শরীয়তপুর সদর উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের বাসিন্দা ও নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী। পুলিশের দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে নয়, বেশ আগে পোস্টারগুলো লাগানোর সময় ভিডিও ধারণ করা হয়েছিল। সাজিট এ মুহূর্তে দেশের বাইরে অবস্থান করায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানা-পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর শহরের পালং তুলাসার সরকারি স্কুলের দেয়াল, গেট, ঈদগাহ এলাকা, পৌরসভা এলাকা, তুলাসার এলাকাসহ অন্তত আটটি স্থানে রাতের আঁধারে পোস্টার লাগিয়েছেন ওই ব্যক্তি। এসব পোস্টার লাগানোর ১ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও গতকাল রাত ১০টার দিকে সাজিট মোল্যা নিজের ফেসবুকে পোস্ট করেন। এরপর ওই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে রাত ১২টার দিকে ভিডিওটি ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকেও পোস্ট করা হয়েছে।

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এক তরুণ দেয়ালে দেয়ালে ও বিদ্যুতের খুঁটিতে পোস্টার লাগাচ্ছেন। পেছন থেকে কেউ তা ভিডিও করছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি–সংবলিত ওই পোস্টারে লেখা ছিল, ‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে; ইনশাল্লাহ। শেখ হাসিনাতেই আস্থা। প্রচারে শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন।’

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানান, গত বছর ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর জাজিরায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গত বছরের ১৫ আগস্ট সর্বশেষ প্রকাশ্যে কর্মসূচি পালন করেন। এরপর সংগঠনটির আর প্রকাশ্যে কোনো কর্মসূচি দেখা যায়নি; কিন্তু রাতের আঁধারে জেলার বিভিন্ন স্থানে মশালমিছিল, পোস্টার টানানো ও বিক্ষোভ মিছিল করেন দলটির নেতা-কর্মীরা।

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘পোস্টার লাগানোর ভিডিওটি সম্প্রতি সময়ের নয়, পুরোনো কোনো ভিডিও এখন ছড়ানো হয়েছে। ভিডিওতে যেসব স্থানের উল্লেখ আছে, সেখানে পুলিশ গিয়েছিল; কিন্তু পোস্টার লাগানোর কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। আমরা পোস্টার লাগানো ওই তরুণকে শনাক্ত করেছি। তরুণের মা জানিয়েছেন, তিনি এখন দেশের বাইরে আছেন। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে আমরা আর আগাইনি।’

এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে জানিয়ে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা তথ্য পেয়েছি, পোস্টার লাগানোর পর ওই ব্যক্তি বাংলাদেশ ছেড়ে অন্য কোনো দেশে চলে গেছেন। এই তরুণের পেছনে কারা আছেন, তাঁদেরও খুঁজে বের করা হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ