ঝিনাইদহে বজ্রপাতে প্রাণ হারালেন দুই কৃষক
Published: 6th, May 2025 GMT
ঝিনাইদহে বজ্রপাতে মিরাজুল ইসলাম (২৫) ও অলিয়ার রহমান (৫০) নামে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। মাঠে ধান কাটার কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতের শিকার হন তারা। একইদিনে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের পশ্চিম বিষয়খালী ও মহারাজপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
নিহত মিরাজুল ইসলাম গান্না ইউনিয়নের পশ্চিম বিষয়খালী গ্রামের শাহাজ্জেল হোসেনের ছেলে। অপর নিহত ব্যক্তি অলিয়ার রহমান মহারাজপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য সহকারী জাহাঙ্গীর আলম ও স্বজনরা জানান, সকালে মাঠে ধান কাটতে যান মিরাজুল। সকাল সাড়ে ১০টার পরে আকস্মিক বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। এসময় অন্যরা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিলেও বজ্রপাতের কবলে পড়েন মিরাজুল। পরে আহতাবস্থায় তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এদিকে অপর নিহত অলিয়ার রহমানের স্বজনরা জানান, সকালে মাঠে ধান ক্ষেতের কাজে বাড়ি থেকে বের হন অলিয়ার। বেলা ১১টার দিকে তুমুল বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। এসময় মাঠে থাকাবস্থায় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন তিনি। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত খালিদ হাসান জানান, বজ্রপাতে আহত দুই কৃষক হাসপাতালে পৌছানোর আগেই মারা যায়।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “বজ্রপাতে দুই কৃষকের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/শাহরিয়ার/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঝ ন ইদহ র রহম ন অল য় র
এছাড়াও পড়ুন:
চার শতাধিক প্রোগ্রামার নিয়ে রাজধানীতে ‘হিরোইউনিয়ন’
সারাদেশের চার শতাধিক প্রোগ্রামারকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্যতিক্রমী মিললমেলা। শুক্রবার রাজধানীর আইডিইবি অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী এ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। ‘হিরোইউনিয়ন’ শীর্ষক এ আয়োজনে সারাদেশের উদীয়মান প্রোগ্রামিং প্রফেশনালসরা অংশ নেয়। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এডটেক প্রতিষ্ঠান ‘প্রোগ্রামিং হিরো’।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন প্রোগ্রামার ও প্রোগ্রামিং হিরো–এর প্রধান নির্বাহী (সিইও) ঝংকার মাহবুব। আরও উপস্থিত ছিলেন সফটওয়্যার কোম্পানি ব্রেইন স্টেশন ২৩–এর সিইও রাইসুল কবির, ব্র্যাক আইটিস-এর সিনিয়র টেকনোলজি অ্যাডভাইজার শাহ আলি নেওয়াজ তপুসহ অন্যান্য প্রযুক্তিবিদ ও ইন্ডাস্ট্রি লিডাররা।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ঝংকার মাহবুব বলেন, সামনে যতই এআই টুল আসুক না কেন, আমাদের সেটিকে কাজে লাগিয়ে নিজের কোডিং স্কিল ও প্রোডাক্টিভিটি বাড়িয়ে নিতে হবে। লিংকডইনের সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা বলছে— গিটহাব কো-পাইলটের মতো এআই টুল ব্যবহার করলে একজন প্রোগ্রামারের কোড লেখার গতি গড়ে ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে। তবে কোড লেখা যত সহজই হোক না কেন, ফিচার টেস্টিং, বাগ ফিক্সিংয়ের জন্য দক্ষ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের প্রয়োজন থেকেই যাবে। তাই প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে, এআইকে সহযোগী করে, নিজেদের দক্ষতা অব্যাহতভাবে বাড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানের শেষে গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ইন্টারঅ্যাক্টিভ লার্নিং অ্যাপের মাধ্যমে ‘প্রোগ্রামিং হিরো’র যাত্রা শুরু হয়। এতে মজার ছলে প্রোগ্রামিং শেখার সুযোগ পেত শিক্ষার্থীরা। পরে এডটেক ইন্ডাস্ট্রির প্রচলিত কাঠামো থেকে বের হয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ গাইডেড লার্নিং এনভায়রনমেন্ট গড়ে তোলে প্রতিষ্ঠানটি; যেখানে একজন শিক্ষার্থী শূন্য থেকে শুরু করে জব–রেডি সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে ওঠার জন্য ধারাবাহিকভাবে উন্নত ট্রেনিং পেয়ে থাকে। গত পাঁচ বছরে প্রোগ্রামিং হিরো ইতিমধ্যে ৬০টিরও বেশি দেশে ২ হাজার ২৬০ কোম্পানিতে ৪ হাজার ৭০০ জনের শিক্ষার্থীকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে।