বন্দরে ওয়াসা অপারেটরকে হত্যার হুমকি ঘটনায় থানায় অভিযোগ
Published: 6th, May 2025 GMT
আদালতে চলমান মামলা উপেক্ষা করে বন্দরে বিরোধপূর্ণ জায়গায় থেকে গাছ কাটার সময় বাধা দেওয়ার জের ওয়াসা অপারেটর আব্দুল সালাম (৪৮)কে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তারেই চাচাত বোন শিউলি বেগম গং এর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওয়াসা অপারেটর আব্দুল সালাম মিয়া বাদী হয়ে ঘটনার ওই দিন দুপুরে হুমকিদাতা শিউলি বেগম, তার ছোট বোন রাবু ও ছোট ভাই শিবলুকে আসামী করে বন্দর থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এর আগে গত সোমবার (৫ মে) সকাল ১১টায় বন্দর থানার ১৯ নং ওয়ার্ডের মদনগঞ্জ ইসলামপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বন্দর থানার মদনগঞ্জ ইসলামপুর এলাকার মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে আব্দুল সালাম মিয়ার পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে একই এলাকার মৃত আহাম্মদ সরকারের মেয়ে তারেই চাচাত বোন শিউলি বেগম ও তার ছোট বোন রাবু বেগম ছোট ভাই শিবলু সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল।
এ ব্যাপারে বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালতে ৩২৮/২০২২ নং একটি দেওয়ানী মামলা চলমান রয়েছে। বিজ্ঞ আদালতে চলমান মামলা উপেক্ষা করে উল্লেখিত বিবাদীগন গত সোমবার সকাল ১১টায় বিরোধপূর্ন জায়গা থেকে একটি কড়ই গাছ কাটার প্রস্তুতি নিলে ওই সময় ওয়াসা অপারেটর আব্দুল সালাম বাধা প্রদান করে।
এতে বিবাদী শিউলি, রাবু ও শিবলু ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও মারমুখী আচরনসহ পায়ের রগ কেটে হত্যার হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
যৌতুকের টাকা না পেয়ে সন্তানকে বিক্রি
যৌতুকের টাকা না পেয়ে নবজাতক সন্তানকে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। গুরুতর আহত ওই নারীকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জয়শ্রী গ্রামে।
অভিযুক্ত স্বামী জয়শ্রী গ্রামের হাতেম আলী সরদারের ছেলে মনজুর আলম সরদার (৪৪)। ভুক্তভোগী নারীর নাম রোজিনা বেগম (৩০)।
রোজিনা বেগম জানান, বিয়ের পর থেকেই মনজুর আলম তাকে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে বাবার বাড়ি থেকে কয়েক দফায় মোটা অঙ্কের যৌতুক আদায় করেন। সর্বশেষ বাবার বাড়ির সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা আনার জন্য চাপ দেন।
তিনি আরও জানান, তিন মাস পূর্বে তাদের ছেলে হয়। কিন্তু স্বামী তাকে জানায়, ছেলে নয়, মেয়ে হয়েছে এবং অসুস্থ হওয়ায় তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর সে মারা গেছে। লাশ দেখতে চাইলে তার স্বামী বলেন, লাশ আনা হয়নি।
রোজিনা বেগম জানান, গত ৩০ জুন বিকেলে তিনি জানতে পারেন মনজুর আলম নবজাতক ছেলেকে আড়াই লাখ টাকার বিনিময়ে এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে বিক্রি করেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় মনজুর আলম তাকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
প্রতিবেশীদের কাছে রোজিনার স্বজনরা খবর পেয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে উজিরপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে মনজুর আলম সরদার বলেন, ‘‘আমি মারধর করিনি। উল্টো সে আমাকে মারধর করেছে।’’
নবজাতক বিক্রির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘ওই সময় আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তির কাগজে আমি স্বাক্ষর করিনি, তাই এ বিষয়ে আমি দায়ী নই। নবজাতক সন্তানের কি হয়েছে আমি জানি না।’’
উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুস সালাম জানান, এ বিষয়ে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা/পলাশ