পিএসএল সরিয়ে নেওয়া হতে পারে দুবাই কিংবা দোহায়
Published: 8th, May 2025 GMT
চলমান পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) এর বাকি ম্যাচগুলো উপমহাদেশের বাইরে সরিয়ে নেওয়ার জোর আলোচনা চলছে। সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে উঠে এসেছে দুবাই ও দোহার নাম।
পাকিস্তানের প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে চলমান রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে দেশে ম্যাচ আয়োজন নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। সেই জটিলতা থেকেই টুর্নামেন্টের ভেন্যু পরিবর্তনের চিন্তা।
তবে একেবারে বিদেশেই নয়, বিকল্প হিসেবে করাচিকেও ভাবা হচ্ছে ঘরোয়া ভেন্যু হিসেবে। মূলত রাওয়ালপিন্ডি, মুলতান ও লাহোরে আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক অস্থিরতায় বদল আসতে পারে সেই পরিকল্পনায়।
আরো পড়ুন:
নাহিদ-রিশাদকে দেশে ফেরানোর চেষ্টায় বিসিবি
টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন রোহিত
এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। এরই মধ্যে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছে। সব ধরনের সম্ভাব্য বিকল্প নিয়েই চলছে আলোচনার টেবিলে জট খুলতে চেষ্টা।
বিশেষ করে রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল যে চারটি ম্যাচ তা কীভাবে পুনঃনির্ধারণ করা যায়, সেটি নিয়ে চলছে সময়সূচি মূল্যায়ন।
তাছাড়া, আজকের (০৮ মে) করাচি কিংস বনাম পেশোয়ার জালমির ম্যাচটি স্থগিত করা হয়েছে।
এরই মাঝে টুর্নামেন্ট গড়িয়েছে শেষ ধাপে। বাকি আছে কেবল চারটি লিগ পর্বের ম্যাচ এবং চারটি প্লে-অফ। এখন প্রতিটি ম্যাচই হতে যাচ্ছে পয়েন্ট টেবিলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সবচেয়ে আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরস। ৯ ম্যাচে ৬ জয়, ২ হার ও ১টি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত ম্যাচে তারা এখন পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে।
দ্বিতীয় স্থানে আছে করাচি কিংস। ৮ ম্যাচে ৫ জয় ও ৩ হারে তাদের পয়েন্ট ১০। সমান ১০ পয়েন্ট নিয়েই তিনে রয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইসলামাবাদ ইউনাইটেড, যারা খেলেছে ৯টি ম্যাচ।
চতুর্থ স্থানে আছে লাহোর কালান্দার্স, যাদের ঝুলিতে ৯ পয়েন্ট। আর পেশোয়ার জালমি রয়েছে পাঁচ নম্বরে, ৮ পয়েন্ট নিয়ে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস