চলমান পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) এর বাকি ম্যাচগুলো উপমহাদেশের বাইরে সরিয়ে নেওয়ার জোর আলোচনা চলছে। সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে উঠে এসেছে দুবাই ও দোহার নাম।

পাকিস্তানের প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে চলমান রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে দেশে ম্যাচ আয়োজন নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। সেই জটিলতা থেকেই টুর্নামেন্টের ভেন্যু পরিবর্তনের চিন্তা।

তবে একেবারে বিদেশেই নয়, বিকল্প হিসেবে করাচিকেও ভাবা হচ্ছে ঘরোয়া ভেন্যু হিসেবে। মূলত রাওয়ালপিন্ডি, মুলতান ও লাহোরে আয়োজনের পরিকল্পনা থাকলেও নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক অস্থিরতায় বদল আসতে পারে সেই পরিকল্পনায়।

আরো পড়ুন:

নাহিদ-রিশাদকে দেশে ফেরানোর চেষ্টায় বিসিবি

টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন রোহিত

এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে। এরই মধ্যে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছে। সব ধরনের সম্ভাব্য বিকল্প নিয়েই চলছে আলোচনার টেবিলে জট খুলতে চেষ্টা।

বিশেষ করে রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল যে চারটি ম্যাচ তা কীভাবে পুনঃনির্ধারণ করা যায়, সেটি নিয়ে চলছে সময়সূচি মূল্যায়ন।

তাছাড়া, আজকের (০৮ মে) করাচি কিংস বনাম পেশোয়ার জালমির ম্যাচটি স্থগিত করা হয়েছে।

এরই মাঝে টুর্নামেন্ট গড়িয়েছে শেষ ধাপে। বাকি আছে কেবল চারটি লিগ পর্বের ম্যাচ এবং চারটি প্লে-অফ। এখন প্রতিটি ম্যাচই হতে যাচ্ছে পয়েন্ট টেবিলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

সবচেয়ে আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরস। ৯ ম্যাচে ৬ জয়, ২ হার ও ১টি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত ম্যাচে তারা এখন পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে।

দ্বিতীয় স্থানে আছে করাচি কিংস। ৮ ম্যাচে ৫ জয় ও ৩ হারে তাদের পয়েন্ট ১০। সমান ১০ পয়েন্ট নিয়েই তিনে রয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ইসলামাবাদ ইউনাইটেড, যারা খেলেছে ৯টি ম্যাচ।

চতুর্থ স্থানে আছে লাহোর কালান্দার্স, যাদের ঝুলিতে ৯ পয়েন্ট। আর পেশোয়ার জালমি রয়েছে পাঁচ নম্বরে, ৮ পয়েন্ট নিয়ে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে না যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

ভেনেজুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিকোলাস মাদুরোর দিন ফুরিয়ে এসেছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। খবর বিবিসির। 

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ করতে যাচ্ছে কিনা জানতে চাইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিবিএস নিউজের ৬০ মিনিটসকে বলেন, “আমার সন্দেহ রয়েছে। আমার মনে হয় না। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করছে।”

আরো পড়ুন:

ক্যারিবীয় জাহাজে আবারো যুক্তরাষ্ট্রের হামলা, নিহত ৩

নাইজেরিয়ায় হামলার হুমকি ট্রাম্পের

ক্যারিবীয় অঞ্চলে মাদক চোরাচালানের অভিযোগে নৌযানগুলোতে মার্কিন হামলা অব্যাহত থাকার মধ্যে ট্রাম্পের এই মন্তব্য এলো। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রে মাদকের প্রবাহ বন্ধ করার জন্য এই হামলা প্রয়োজনীয়।

ট্রাম্প এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন যে, ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযান মাদক বন্ধ করার লক্ষ্যে নয়, বরং ট্রাম্প বিরোধী মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি ‘অনেক কিছু’ সম্পর্কে।

বিবিসির মার্কিন নিউজ পার্টনার সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে ক্যারিবীয় ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন হামলায় কমপক্ষে ৬৪ জন নিহত হয়েছে।

সম্প্রতি ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে এক বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, “মার্কিন হামলায় আপনি যেসব নৌযানে বিস্ফোরণ হতে দেখেন, তার প্রতিটিতে অন্তত ২৫ হাজার মাদকদ্রব্য ধ্বংস হয়। এগুলো যুক্তরাষ্ট্রে মাদক সরবরাহের জন্য দায়ী।”

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্থলপথে ভেনেজুয়েলায় হামলার পরিকল্পনা করছে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প তা উড়িয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, “আমি এটা বলতে চাই না যে আমি এটা করব...আমি ভেনেজুয়েলার সাথে কী করব, আমি তা করব কিনা, তা আমি বলব না।”

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘অঘোষিত যুদ্ধ’ শুরু করার অভিযোগ তুলেছেন। অন্যদিকে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোর অভিযোগ, নৌযানগুলোতে হামলা চালানোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র লাতিন আমেরিকায় ‘আধিপত্য বিস্তার’ করার চেষ্টা করছে।

ট্রাম্প জানান, তার সরকার ‘সারা বিশ্ব থেকে’ সন্ত্রাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে ‘আসতে’ দেবে না।

তিনি বলেন, “তারা কঙ্গো থেকে আসে, তারা সারা বিশ্ব থেকে আসে, তারা আসছে, কেবল দক্ষিণ আমেরিকা থেকে নয়। তবে বিশেষ করে ভেনেজুয়েলা- খারাপ। তাদের গ্যাং আছে।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্দিষ্ট করে ভেনেজুয়েলার ‘ট্রেন দে আরাগুয়ার’ নাম উল্লেখ করেন। তিনি এটিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ গ্যাং’ হিসেবে অভিহিত করেন।

জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজে ফিরে আসার পর থেকে, ট্রাম্প প্রশাসন মেক্সিকো এবং ল্যাটিন আমেরিকার বেশ কয়েকটি মাদক পাচারকারী সংগঠন ও অপরাধী গোষ্ঠীকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ভেনেজুয়েলার ট্রেন দে আরাগুয়া এবং কার্টেল অব দ্য সানস, যেটি যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট মাদুরো ও তার ঘনিষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা পরিচালনা করে। তবে কারাকাস সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ