চাহিদা অনুযায়ি শিক্ষার্থী গড়ে তুলতে কারিকুলাম পরিবর্তন করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।

তিনি বলেছেন, “দেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে প্রবেশ করেছে। ইতোমধ্যে পদধ্বনী তুলছে পঞ্চম শিল্প বিপ্লব। এগুলোর জন্য আমাদের শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে হলে এখনই শিক্ষার কারিকুলাম পরিবর্তন করা দরকার।”

সোমবার (১২ মে) আইকিউএসির সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত আউটকাম বেসড অ্যাডুকেশন কারিকলাম স্ট্রাটেজিক ফ্রেমওর্য়্যাক ফর কোয়ালিটি লার্নিং-বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

আরো পড়ুন:

ইবির ভর্তি পরীক্ষা: ধর্মতত্ত্বে উপস্থিতি ৯০.

৩২ শতাংশ

ইবিতে আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ

তিনি বলেন, “উন্নয়নের চাহিদার সঙ্গে আমাদের শিক্ষার্থীদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট করার জন্য যে উপকরণগুলো দরকার, আমরা যেন তাদের সেটি দিতে পারি, সেই বিষয়গুলোর দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীদের মনোযোগ সঠিক ধারায় ধরে রাখতে তাদের চাওয়া ও মতামতের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে শিক্ষকদের। আমাদের সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গে কিভাবে উচ্চশিক্ষাকে যুক্ত করা যায়, সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে উচ্চশিক্ষার কাঠামোকে সাজাতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “ভবিষ্যতে আমাদের শিক্ষার্থীদের যে জায়গাগুলোতে কাজের সুযোগ রয়েছে, সেগুলোতে গুরুত্ব দিয়ে উচ্চশিক্ষাকে সাজাতে হবে। এটা এমনভাবে করতে হবে, তারা যেন নিজেদের মধ্যে আকাশ ছোঁয়ার বাসনা তৈরি করতে পারে। আকাশটা তাদের সীমানা হয়ে দাঁড়ায়।”

আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। রির্সোস পারসন হিসেবে ছিলেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. আসাদ-উদ-দৌলা।

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম দ র শ ক ষ র থ দ র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ