বুধবার যমুনার উদ্দেশে লংমার্চ করবেন জবি শিক্ষার্থীরা
Published: 14th, May 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বাজেট বৃদ্ধি ও আবাসন ভাতাসহ চার দফা দাবিতে বুধবার ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে ‘জবি ঐক্য’ প্ল্যাটফর্ম এ ঘোষণা দেয়।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, মঙ্গলবার আমরা ইউজিসি চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছি। সেখানে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে ৩০৫ কোটি টাকার বাজেটের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে, তা কাটছাঁট করা যাবে না- এ দাবি জানিয়েছি। তবে ইউজিসি আমাদের আশানুরূপ উত্তর দেয়নি। শুধু আশ্বস্ত করেছে। তাই বুধবার সকাল ১১ টায় ‘লংমার্চ টু যমুনা’ ঘোষণা করেছি। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
শাখা ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আগেও টালবাহানা করা হয়েছে, এখানও করা হচ্ছে। আমাদের আর আশ্বাস দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না। অধিকার আদায়ের জন্য আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লংমার্চে অংশ নেব। অধিকার আদায় করেই ফিরবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসনভাতা, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাজেট বৃদ্ধিসহ চার দাবিতে টানা কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাদের সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ইউজিসিতে যান আলোচনার জন্য। তবে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনে পিআরের বিকল্প নেই: আব্দুল্লাহ তাহের
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ভোটের সংখ্যানুপাতে (পিআর) সংসদের আসন বণ্টন পদ্ধতির বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণে কার্যালয়ে জুলাই-আগস্টের শহীদ, আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের স্মরণে দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে ডা. তাহের বলেন, যারা ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার পথ বন্ধ করতে সহযোগিতা করছে না, তারাও ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চায়। ভোট ডাকাতির কোনো সুযোগ থাকবে না বলেই কেউ কেউ পিআর পদ্ধতিকে ভয় পায়। যারা নির্বাচনের আগেই সংসদে ২৮০ আসন পাবে বলে দাবি করে, তারাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধা। তারা মূলত হাসিনা মার্কা যেনতেন নির্বাচন চায়। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হলে, বাংলাদেশ কঠিন পরিস্থিতিতে পড়বে। মানুষ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হারাবে। রাষ্ট্র কর্তৃক জুলুমের শিকার হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভ করেছি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় জুলুম ও বৈষম্য ছিল। ২০২৪ সালে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের জুলুম থেকে জাতি স্বাধীনতা লাভ করেছে। ২৪ এর স্বাধীনতা আর কাউকে ছিনিয়ে নিতে দেওয়া হবে না। ছাত্র-জনতার অর্জিত নতুন বাংলাদেশ মৌলিক পরিবর্তন চায়। বিএনপিসহ তিনটি দল ছাড়া সবাই শর্তহীনভাবে প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ ১০ বছরের সীমাবদ্ধ চায়। কারও উদ্দেশ্য যদি খারাপ হয়, তাহলে মহৎ উদ্দেশ্যে তিনি সমর্থন জানান না, জানাতে পারেন না।
দক্ষিণ জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকিরের সভাপতিত্বে দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন মহানগরের নেতা এবং আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।