জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বাজেট বৃদ্ধি ও আবাসন ভাতাসহ চার দফা দাবিতে বুধবার ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে ‘জবি ঐক্য’ প্ল্যাটফর্ম এ ঘোষণা দেয়।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, মঙ্গলবার আমরা ইউজিসি চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছি। সেখানে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে আবাসন ভাতা, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে ৩০৫ কোটি টাকার বাজেটের প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে, তা কাটছাঁট করা যাবে না- এ দাবি জানিয়েছি। তবে ইউজিসি আমাদের আশানুরূপ উত্তর দেয়নি। শুধু আশ্বস্ত করেছে। তাই বুধবার সকাল ১১ টায় ‘লংমার্চ টু যমুনা’ ঘোষণা করেছি। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।

শাখা ছাত্র শিবিরের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আগেও টালবাহানা করা হয়েছে, এখানও করা হচ্ছে। আমাদের আর আশ্বাস দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না। অধিকার আদায়ের জন্য আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লংমার্চে অংশ নেব। অধিকার আদায় করেই ফিরবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসনভাতা, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাজেট বৃদ্ধিসহ চার দাবিতে টানা কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাদের সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ইউজিসিতে যান আলোচনার জন্য। তবে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’

ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।

আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।

আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।

রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।

রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।

কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?

কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।

রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।

রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।

এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।

রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ