রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫) হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এসময় তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেছেন।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরের সামনে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।

সমাবেশে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন।

এ সময় ‘দফা এক দাবি এক, ভিসির পদত্যাগ’, ‘আমার ভাইয়ের লাশ পড়ে, প্রশাসন কী করে’, ‘নয় মাসে দুই খুন, ভিসি-প্রক্টরের অনেক গুণ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।

সমাবেশে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, কোনো বিশেষ গোষ্ঠীকে সহায়তা করার জন্য এই অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ‘অতি দ্রুত আমরা এই ভিসি ও প্রক্টরকে সরানোর অনুরোধ করছি সরকারের কাছে। না হলে আমরা এই ইন্টেরিম সরকারকেই সরাতে বাধ্য হব।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনও উপাচার্য-প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন।

উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করার কথা রয়েছে ছাত্রদলের।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানা এলাকায়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র স উপ চ র য

এছাড়াও পড়ুন:

হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মানতে রাজী, তবে...

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জানিয়েছে, তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থিত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মানতে রাজী তবে গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলভার জানিয়েছেন, গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির ‘প্রয়োজনীয় শর্তে’ রাজি হয়েছে ইসরায়েল। তবে তিনি সেই শর্তগুলোর বিস্তারিত প্রকাশ করেননি। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, “শান্তি প্রতিষ্ঠায় কঠোর পরিশ্রম করা কাতার ও মিসরের মাধ্যমে চূড়ান্ত প্রস্তাবটি দেওয়া হবে। আমি আশা করি হামাস এই প্রস্তাব গ্রহণ করবে, কারণ এর চেয়ে ভালো আর কিছু তারা পাবে না- পরিস্থিতি কেবল আরো খারাপ হবে।”

হামাস বুধবার ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য উন্মুক্ত থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে। কিন্তু  ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত মার্কিন-সমর্থিত প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। হামাস তাদের দীর্ঘদিনের অবস্থানের উপর জোর দিয়ে বলেছে, যেকোনো চুক্তির আগে গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে।

হামাস কর্মকর্তা তাহের আল-নুনু বলেছেন, হামাস ‘একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য প্রস্তুত এবং বিষয়টিতে গুরুত্ব দিচ্ছে।’

তিনি বলেছেন “যে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করতে প্রস্তুত যা স্পষ্টভাবে যুদ্ধের সম্পূর্ণ অবসান ঘটায়।”

একজন মিশরীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা করার জন্য বুধবার কায়রোতে হামাসের একটি প্রতিনিধিদল মিশরীয় এবং কাতারি মধ্যস্থতাকারীদের সাথে দেখা করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ