নিলাম থেকে কেউ দলে নেয়নি। তবে ভারত–পাকিস্তান সংঘাতের পর আইপিএলে নতুন ঠিকানা খুঁজে পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিল্লি ক্যাপিটালস জানিয়েছে, বাংলাদেশি এই পেসারকে দলে নিয়েছে তারা। এর আগেও ফ্র্যাঞ্চাইজিটির হয়ে আইপিএল খেলেছেন তিনি।

বিস্তারিত আসছে...।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চেম্বারে ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় রাবি শিক্ষক, ভিডিও ভাইরাল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চেম্বারে আপত্তিকর অবস্থায় ছাত্রীসহ এক শিক্ষককে আটক করার ঘটনা ঘটেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দিন গত রবিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় তাদের হাতেনাতে আটক করেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৪ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও সামনে এলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

ওই শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ এর সদস্য। জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাকে দেখা গেছে।

আরো পড়ুন:

জবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে তিতুমীর কলেজে বিক্ষোভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সাম্য হত্যা: তথ্য চেয়ে অনুরোধ তদন্ত কমিটির 

ওই ছাত্রী একই বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তরের (এমবিএ) শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম খালেদা জিয়া হলের এই আবাসিক ছাত্রী স্নাতকে (বিবিএ) ভালো ফল অর্জন করেছেন বলেও জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দিন বিকেল ৫টার দিকে ওই ছাত্রীকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অ্যাকাডেমিক ভবনের ৩০৭ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করেন মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ। কক্ষে প্রবেশের পর বৈদ্যুতিক বাতি বন্ধ করে দেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই কক্ষের দরজায় কড়া নাড়েন। বেশ কিছুক্ষণ পর শিক্ষক দরজা খুলে দেন। শিক্ষার্থীরা কক্ষে প্রবেশ করে দেখেন, ছাত্রীর ওড়না-হিজাব শরীরে নেই। ছাত্রীর ব্যাগ, সেফটিপিনসহ অনেক কিছু শিক্ষকের টেবিলে ছিল। পাশেই রাখা ছিল বালিশ।

ছাত্ররা ভিডিও করার সময় ওই ছাত্রীর মাথায় একটি রুমাল পরিয়ে মাথা ঢেকে দেন মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তখন জানতে চান, ‘ছাত্রীর মাথায় কেন রুমাল পরিয়ে দেওয়া হচ্ছে?’ জবাবে শিক্ষক বলেন, ‘সে মেয়ে মানুষ, তাই।’ এ সময় ওই শিক্ষক ও ছাত্রীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ উপস্থিত শিক্ষার্থীদের কথা হয়। পরে বিষয়টি তাদের মধ্যে মীমাংসা হয়।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ফাইন্যান্স বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. শিবলী সাদিক বলেন, “মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে এর আগে এক ছাত্রী বিভাগে যৌন হয়রানির অভিযোগ দিয়েছিল। তখন বিভাগের সভাপতি আরেকজন ছিলেন। পরে বিভাগের সভাপতি বসে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। তবে গত রবিবার ছাত্রীর সঙ্গে কক্ষে আপত্তিকর অবস্থায় থাকার বিষয়টি আমি জানি না।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মাহবুবর রহমান জানান, ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহর কক্ষে ছাত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়ার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। কেউ অভিযোগ দেননি। তবে অভিযোগ পেলে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখে ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, “এ বিষয়ে আমি অবগত নই, খোঁজ নিচ্ছি। প্রথমে আমাকে জানতে হবে, সেখানে আসলে কি ঘটেছে। সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেব।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ