দিল্লির চাওয়া ৩, বিসিবি রাজি ২ ম্যাচে
Published: 16th, May 2025 GMT
দুবাই পৌঁছেই বিসিবির কাছে আইপিএলে খেলার জন্য অনাপত্তিপত্রের আবেদন করেন মুস্তাফিজুর রহমান। দিল্লি থেকেও বাংলাদেশি এ পেসারকে চেয়ে বিসিবির কাছে ই-মেইল এসেছে। আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিটির চাওয়া মুস্তাফিজকে যেন তাদের লিগ পর্বের বাকি তিনটি ম্যাচের জন্য ছাড়া হয়।
তবে বিসিবি আপাতত দুটি ম্যাচের জন্য মুস্তাফিজকে ছাড়তে রাজি হয়েছে। কাল শারজাহতে দুই ম্যাচ টি২০ সিরিজের প্রথমটিতে আরব আমিরাতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচটি আগামী সোমবার।
বিসিবি সূত্রের খবর সিরিজ শেষে মুস্তাফিজকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট সম্মতি দিলে আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের পরও মুস্তাফিজকে আইপিএলের জন্য ছাড়া হতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে।
দিল্লিকে প্লে অফে উঠতে হলে এ তিন ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ– এই যুক্তি দিয়েই ফ্র্যাঞ্জাইজিটি বিসিবিকে মেইল করেছে। মুস্তাফিজ ও তার সতীর্থরাও চাইছেন যেন এই তিনটি ম্যাচে খেলার সুযোগ দেওয়া হয়। তেমন কিছু হলে আমিরাতের সঙ্গে প্রথম ম্যাচ খেলে ওই রাতে কিংবা পরের দিন সকালে দিল্লি যেতে পারবেন তিনি।
দিল্লি প্লে অফে উঠলে মুস্তাফিজের ম্যাচ খেলার সংখ্যা বাড়তে পারে। ওই সময় বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর রয়েছে। তবে নিরাপত্তা নিয়ে ক্রিকেটাররা দোটানায় আছে। বিসিবি বলেছে, কাউকে পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য জোর করা হবে না। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে মুস্তাফিজ যদি পাকিস্তানে না যান সেক্ষেত্রে আইপিএলে ম্যাচ খেলার সুযোগ বাড়বে তার।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম স ত ফ জ র রহম ন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।