সরকারের সুস্পষ্ট ঘোষণা ছাড়া রাজপথ থেকে সরব না: অধ্যাপক রইস
Published: 16th, May 2025 GMT
সরকারের সুস্পষ্ট ঘোষণা ছাড়া রাজপথ থেকে একচুলও নড়বেন না বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন।
শুক্রবার (১৬ মে) কাকরাইল মোড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক রইছ উদ্দিন বলেন, “এ দেশের প্রত্যেকটা নাগরিক তাদের অধিকার প্রত্যাশা করে। তিন দিন ধরে আমার শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে বসে দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছে। কিন্তু এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সমাধান আসেনি। অথচ চাইলে প্রথম দিনই তার সমাধান করা যেত।”
তিনি বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অবহেলিত, বঞ্চিত এটা ঐতিহাসিকভাবে সত্য। এই বৈষম্যের নিরসনের জন্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের দলমত নির্বিশেষে সব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই একাট্টা। সুতরাং আমাদের দাবি পূর্ণাঙ্গরুপে মানতে হবে। আমরা এমন একটি পর্যায়ে উপস্থিত হয়েছি, এখান থেকে ব্যাকে যাওয়ার সুযোগ নেই। তাই সবার সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ চাই।”
তিনি বলেন, “আমরা এখান থেকে একচুল সরব না। আমাদের রক্তের ওপর প্রতিষ্ঠিত যে সরকার যদি চোখ রাঙিয়ে কথা বলে, হুমকি-ধামকি দেয়, যদি স্টিম রোলার চালানোর প্রচেষ্টা করে তাহলে সেটাকে রুখে দেব। এ আন্দোলন তখন কাকরাইল পয়েন্টে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এটা কোথায় যাবে, জানি না, এর দায় দায়িত্ব আমরা নেব না।”
এদিকে, দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৬ মে) বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে অনশন শুরু করেন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বিকেল ৩টায় সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীদের সমাবেশে জবি ঐক্যের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব লিমন।
ঢাকা/লিমন/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবিচার ও বৈষম্য করা হচ্ছে
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দু-চারজন ছাড়া বর্তমান কমিটির অধিকাংশই আওয়ামী লীগের দোসর বলে অভিযোগ করেছে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল। সংগঠনের সভাপতি ইসতিয়াক আজিজ উলফাত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে বলেন, শেখ হাসিনা যেমন মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে কুক্ষিগত করে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের আখড়া বানিয়েছিলেন, তেমনি অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে কতিপয় বিতর্কিত মানুষের কারণে দেশের অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবিচার ও বৈষম্য করা হচ্ছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে ইসতিয়াক আজিজ আরও বলেন, বিএনপি করে এমন কেউ এই সংসদের সদস্য হতে পারবে না, এমন তো কোনো আইন নেই। কিন্তু বর্তমান সময়ে যেভাবে নতুন সদস্য ও কমিটিগুলো করা হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধা হলেও বিএনপি করে এমন কেউ সদস্য হতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান রাজনৈতিক দল গঠনের মধ্য দিয়ে জাতিকে নানা বৈষম্য থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন। স্বনির্ভর করেছিলেন এই জাতিকে। তার দলের সদস্যরা বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য হতে বাধার সম্মুখীন হবেন, তা কি কখনও জাতি আশা করেছিল? এর চেয়ে বৈষম্য আর কী হতে পারে।’
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, যুদ্ধকালীন কমান্ডার শহীদ বাবলু, মো. মোবারক, শরীফ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ।