যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগে ইরানের আপত্তি নেই
Published: 16th, May 2025 GMT
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চাইলে তেহরানে বিনিয়োগ করতে পারে। এমনকি ইরানের তেল ও গ্যাস খাতে কাজ করতে চাইলেও তেহরানের কোনো আপত্তি নেই। তবে বিনিয়োগ করার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে।
আরাগচি মনে করেন, ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার কারণেই ইরানে তাদের বিনিয়োগের সুযোগ কমে গেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচির বক্তব্যের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
আরাগচি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেই ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্য যেসব দেশে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নেই, সেখানে তারা বিনিয়োগ করছে। আমরাও চাই যুক্তরাষ্ট্র ইরানে বিনিয়োগ করুক। কিন্তু এর আগে অবশ্যই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন তেহরানের সঙ্গে একটি নতুন পরমাণু চুক্তির ‘দ্বারপ্রান্তে’। এর পরই এই কথাগুলো বলেন আব্বাস আরাগচি।
গত ১২ এপ্রিল ওমানের মধ্যস্থতায় এখন পর্যন্ত চার দফা আলোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান। ইরান কূটনৈতিকভাবে এসব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। কিন্তু গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি ফের চালু করেন ট্রাম্প। এদিকে গত বুধবার মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও সংস্থার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনে পিআরের বিকল্প নেই: আব্দুল্লাহ তাহের
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ভোটের সংখ্যানুপাতে (পিআর) সংসদের আসন বণ্টন পদ্ধতির বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণে কার্যালয়ে জুলাই-আগস্টের শহীদ, আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের স্মরণে দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে ডা. তাহের বলেন, যারা ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার পথ বন্ধ করতে সহযোগিতা করছে না, তারাও ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চায়। ভোট ডাকাতির কোনো সুযোগ থাকবে না বলেই কেউ কেউ পিআর পদ্ধতিকে ভয় পায়। যারা নির্বাচনের আগেই সংসদে ২৮০ আসন পাবে বলে দাবি করে, তারাই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধা। তারা মূলত হাসিনা মার্কা যেনতেন নির্বাচন চায়। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হলে, বাংলাদেশ কঠিন পরিস্থিতিতে পড়বে। মানুষ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হারাবে। রাষ্ট্র কর্তৃক জুলুমের শিকার হবে।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের হাত থেকে স্বাধীনতা লাভ করেছি। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় জুলুম ও বৈষম্য ছিল। ২০২৪ সালে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের জুলুম থেকে জাতি স্বাধীনতা লাভ করেছে। ২৪ এর স্বাধীনতা আর কাউকে ছিনিয়ে নিতে দেওয়া হবে না। ছাত্র-জনতার অর্জিত নতুন বাংলাদেশ মৌলিক পরিবর্তন চায়। বিএনপিসহ তিনটি দল ছাড়া সবাই শর্তহীনভাবে প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ ১০ বছরের সীমাবদ্ধ চায়। কারও উদ্দেশ্য যদি খারাপ হয়, তাহলে মহৎ উদ্দেশ্যে তিনি সমর্থন জানান না, জানাতে পারেন না।
দক্ষিণ জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুস সবুর ফকিরের সভাপতিত্বে দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন মহানগরের নেতা এবং আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।