৫০০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের প্রথম গেমিং মনিটর আনল স্যামসাং
Published: 17th, May 2025 GMT
বিশ্বের প্রথম ৫০০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের ওএলইডি গেমিং মনিটর আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। ‘ওডিসি ওএলইডি জি৬’ নামের এই মনিটরটি মূলত গেমার বা গেম খেলোয়াড়দের জন্য তৈরি করা হয়েছে।
গত রোববার স্যামসাং জানায়, নতুন এই গেমিং মনিটর প্রাথমিকভাবে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ার বাজারে ছাড়া হয়েছে। পরে এটি বিশ্বের অন্যান্য দেশেও পাওয়া যাবে। ওডিসি ওএলইডি জি৬ মনিটরটির দাম ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪৮৮ মার্কিন ডলার। মনিটরটিতে রয়েছে ২৭ ইঞ্চি আকারের কিউএইচডি (২৫৬০ x ১৪৪০ পিক্সেল) রেজল্যুশনের ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট ৫০০ হার্টজ। ডিসপ্লেটির গ্রে-টু-গ্রে রেসপন্স টাইম মাত্র শূন্য দশমিক শূন্য ৩ মিলিসেকেন্ড, যা দ্রুত প্রতিক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এতে স্যামসাংয়ের নিজস্ব কিউডি-ওএলইডি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। মনিটরটি এনভিডিয়া জি-সিঙ্ক এবং এএমডি ফ্রিসিঙ্ক প্রিমিয়াম প্রো প্রযুক্তি সমর্থন করবে। ফলে স্ক্রিন টিয়ারিং ও স্টাটারিংয়ের মতো সমস্যা কমে আসবে। দীর্ঘ সময় গেম খেলার সময়ও ছবি থাকবে মসৃণ ও স্থির।
গঠনগত দিক থেকে মনিটরটির ফ্রেমের উপাদান ধাতব। আর পেছনে রয়েছে ‘কোর লাইটিং+’ প্রযুক্তি, যা স্ক্রিনে প্রদর্শিত কনটেন্ট অনুযায়ী আলো বদলাবে। উচ্চতা, কাত ও ঘূর্ণনের মতো স্ট্যান্ড-সমন্বয়ের সুবিধাও এতে রাখা হয়েছে। মনিটরটির চারপাশে প্রায় অদৃশ্য বেজেল থাকবে। সংযোগের সুবিধার ক্ষেত্রে মনিটরটিতে রয়েছে ডিসপ্লে পোর্ট ১ দশমিক ৪, দুটি এইচডিএমআই পোর্ট, একটি ইউএসবি-এ পোর্ট এবং একটি হেডফোন জ্যাক। এটি ভেসা ডিসপ্লে এইচডিআর ট্রু ব্ল্যাক ৫০০ সার্টিফায়েড। সর্বোচ্চ উজ্জ্বলতা ১ হাজার নিট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। প্যানটোন ভ্যালিডেটেড মনিটরটি ২ হাজার ১০০টির বেশি রং এবং ১১০টি ভিন্ন ধরনের ত্বকের রং নিখুঁতভাবে প্রদর্শনে সক্ষম, যা গেমিংয়ের পাশাপাশি পেশাদার কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্যও উপযোগী করে তুলেছে।
ওএলইডি ডিসপ্লেতে বার্ন-ইনের ঝুঁকি কমাতে স্যামসাং এতে যুক্ত করেছে ‘ওএলইডি সেফগার্ড+’ প্রযুক্তি। এতে ব্যবহার করা হয়েছে পালসেটিং হিট পাইপ ও ডায়নামিক কুলিং সিস্টেম, যা প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি কার্যকর বলে দাবি করেছে স্যামসাং। পাশাপাশি স্থির ছবির উপাদানগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালকা ডিম হয়ে যাবে, যা দীর্ঘ মেয়াদে স্ক্রিন বার্ন রোধে সহায়ক হবে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডির সুযোগ, ১-৪ বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা
জাপানে পড়াশোনা করার আগ্রহ থাকতে পারে অনেকের। এ আগ্রহে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য দারুণ এক সুযোগ নিয়ে এসেছে দেশটির হোনজো ফাউন্ডেশন। এ ফাউন্ডেশনের হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ ২০২৬-এ আবেদন শুরু হয়েছে। এই মর্যাদাপূর্ণ জাপানি বৃত্তির মাধ্যমে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়া যাবে। এতে রয়েছে আংশিক অর্থায়নের বৃত্তির পাশাপাশি মাসিক ভাতা, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে সাহায্য করবে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য এই আন্তর্জাতিক বৃত্তি মূলত তাঁদের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার লক্ষ্যেই প্রদান করা হয়। পাশাপাশি এটি জাপান এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করতে সাহায্য করবে।
হোনজো ফাউন্ডেশন স্কলারশিপের উদ্দেশ্য—১৯৯৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর জাপানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে হোনজো ফাউন্ডেশনকে আন্তর্জাতিক বৃত্তি সংস্থা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এটি প্রতিষ্ঠা করেন টাউন লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা মাসানরি হোনজো। তিনি ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক মূলধন হিসেবে ২০ কোটি ইয়েন নগদ অর্থ এবং তাঁর প্রতিষ্ঠানের ১০ লাখ শেয়ার দান করেন এ বৃত্তির জন্য। হোনজো ফাউন্ডেশন উন্নয়নশীল দেশের সেই সব শিক্ষার্থীকে সাহায্য করে, যাঁরা ভবিষ্যতে নিজেদের দেশকে উন্নয়নের পথে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন। পাশাপাশি জাপানি শিক্ষার্থীরাও বিদেশে পড়াশোনার জন্য এ বৃত্তি পেয়ে থাকেন, যা বৈশ্বিক সংযোগ ও আন্তর্জাতিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
আবেদনে যোগ্যতার শর্ত
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তির জন্য আবেদনকারীদের নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হবে—
—জাপান ব্যতীত সব দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
—আবেদনকারীকে ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া কোনো গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে বা ভর্তির পরিকল্পনা থাকতে হবে।
—বর্তমান শিক্ষার্থী, যাঁরা এখনো ভর্তি হননি বা কর্মরত, তাঁরাও আবেদন করতে পারবেন, যদি তাঁরা এপ্রিল ২০২৬-এ ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করেন।
—যাঁরা ২০২৫ সালের শরৎকালীন সেমিস্টারে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরাও এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
—প্রফেশনাল গ্র্যাজুয়েট স্কুলে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা সাধারণত যোগ্য নন, তবে বৈধ গবেষণা পরিকল্পনা জমা দিতে পারলে তাঁরা আবেদন করতে পারবেন।
বয়সসীমা—পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।
—মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
—পড়াশোনা শেষ করার পর নিজ দেশের উন্নয়নে কাজ করার দৃঢ় অঙ্গীকার থাকতে হবে।
—আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতি আগ্রহী হতে হবে এবং ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও অ্যালামনাই নেটওয়ার্কে অংশগ্রহণ করতে হবে।
—দৈনন্দিন কথোপকথনের মতো জাপানি ভাষায় কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে, কারণ, সাক্ষাৎকার কেবল জাপানি ভাষায় হবে।
বৃত্তির সুবিধা
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক আর্থিক ও একাডেমিক সহায়তা প্রদান করে:
১। পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ।
২। মাসিক ভাতা।
—১ বা ২ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ৩০ হাজার ইয়েন।
—৩ বছরের কোর্সের জন্য ২ লাখ ১০ হাজার ইয়েন।
—৪ বা ৫ বছরের কোর্সের জন্য ১ লাখ ৮০ হাজার ইয়েন।
—জাপানে যাওয়ার জন্য ট্রাভেল গ্র্যান্ট দেওয়ার সুযোগ থাকতে পারে।
—আর্থিক দুশ্চিন্তা ছাড়াই পড়াশোনায় সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ।
—জাপানের সংস্কৃতিময় জীবনযাত্রা উপভোগের পাশাপাশি পড়াশোনার সুযোগ।
—বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্লোবাল নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সুযোগ।
হোনজো আন্তর্জাতিক বৃত্তিতে শিক্ষার্থীরা পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ পাবেন এবং পাবেন মাসিক ভাতা।