রিজার্ভ চুরির মামলার প্রতিবেদন ২ জুলাই জমা দেওয়ার নির্দেশ
Published: 18th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ২ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান আজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় নতুন এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরির মামলায় ৮৫ বার সময় নিল সিআইডি।
চুরি হওয়া অর্থের অন্তত ৮১ মিলিয়ন ডলার ম্যানিলাভিত্তিক রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সেই অর্থ পরে ফিলিপাইনের ক্যাসিনোগুলোতে চলে যায়। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-পরিচালক (অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং) জোবায়ের বিন হুদা ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ মতিঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ পর্যন্ত আরসিবিসি থেকে ১৫ মিলিয়ন ডলার এবং শ্রীলঙ্কার একটি ব্যাংক থেকে আরও ২০ মিলিয়ন ডলার পুনরুদ্ধার করেছে বাংলাদেশ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ডিএসইর সিটিও পদে যোগ দিলেন আসিফুর রহমান
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) হিসেবে যোগ দিয়েছেন ড. মো. আসিফুর রহমান। বুধবার (২ জুলাই) তিনি ডিএসইতে কাজে যোগ দেন।
ডিএসইর প্রকাশনা ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ড. রহমান বিভিন্ন দেশি ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগে দীর্ঘদিন সফলতার সাথে কাজ করেছেন। তিনি ২০১৬ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আশা ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ পিএলসির সিটিও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি ২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত স্মার্ট সার্ভিস টেকনোলজিস কোম্পানি লিমিটেডের ওভারসিজ অপারেশন্সের হেড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালনকালে তিনি আটটি কোম্পানি এবং অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অংশীদারিত্ব তৈরি করেন। তিনি ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত কিউশ্যু বিশ্ববিদ্যালয়, জাপানের সিস্টেম এলএসআই রিসার্স সেন্টার-এর রিসার্স ফেলো হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বৈচিত্র্যময় কর্মজীবনে তিনি আশা এবং আশা ইন্টারন্যাশনালের ডিরেক্টর আইটি, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের সহযোগী অধ্যাপক, অ্যানজেলনেট টেকনোলজিস আইএনসি, (ইউএসএ) এর ঢাকা অফিসের ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া তিনি ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের ইটিএসি ডেটা কম্পিউটারাইজেশন প্রজেক্টের অ্যাসিস্টেন্ট প্রোগ্রামার ও এফএও আন্দ্রে মেয়ার ফেলোশিপ প্রজেক্টোর কম্পিউটার কনসালটেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র হিসেবে ১৯৯৪ সালে বিএসসি, ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। তিনি বুয়েট গ্রাজুয়েট ক্লাব লিমিটেড ও বুয়েট এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য।
তার ফাইন্যান্সিয়াল মার্কেটের ব্লক চেইন, এআই ও মেশিন লার্নিং এপ্লিকেশন্স এবং ফাইন্যান্সিং মডেলিং-এর জন্য হাই পারফরমেন্স কম্পিউটিং আর্কিটেকচার ও স্কেলেবল সিস্টেম দক্ষতা রয়েছে।
ঢাকা/এনটি/এসবি