বন্দরে বাইক এক্সিডেন্টে কলেজ ছাত্রী নিহত, আহত ১
Published: 18th, May 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ বন্দরে বাইক এক্সিডেন্টে সরকারি তুলারাম কলেজের নারী শিক্ষার্থী আফসানা আক্তার (১৭) নিহত হয়েছে । এ ঘটনায় বাইক চালক সিয়াব প্রধান (১৯) আহত হয়। দূর্ঘটনার পর থেকে ঘাতক চালক পলাতক রয়েছে।
নিহত শিক্ষার্থী আফসানা আক্তার বন্দর উপজেলার বালিগাও এলাকার আনোয়ার হোসেন মিয়ার মেয়ে। আহত বাইক চালক সিয়াব প্রধান সোনারগাঁ উপজেলার শম্ভুপুরা এলাকার দুলাল প্রধানের ছেলে। স্থানীয়রা মুমুর্ষ অবস্থায় বাইক চালককে উদ্ধার করে মদনপুর বারাকা হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
রোববার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটায় বন্দর উপজেলার ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের কেওঢালাস্থ জাহিন গার্মেন্টসের পশ্চিম পাশে এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। সড়ক দূর্ঘটনার খবর পেয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে লাশ উদ্ধার করে হাইওয়ে থানায় নিয়ে যায়।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রোববার দুপুরে আড়াইটায় দিকে বন্দর থানার বালিগাও এলাকার আনোয়ার হোসেন মিয়ার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে আফসানা আক্তার ও সোনারগাঁ উপজেলার শম্ভুপুরা এলাকার দুলাল প্রধানের ছেলে সিয়াব প্রধান মদনপুর থেকে মোটর সাইকেল যোগে সোনারগাঁ উপজেলার দড়িকান্দী এলাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্য রওনা হয়।
পরে তাদের ব্যবহৃত মোটর সাইকেলটি ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের কেওঢালাস্থ জাহিন গার্মেন্টসের পশ্চিম পাশে পৌছলে ওই সময় বেপরোয়া গতিতে আসা একটি অজ্ঞাত নামা বাস পিছন থেকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে কলেজ ছাত্রী আফসানা আক্তার নিহত ও বাইক চালক সিয়াব মারাত্মক ভাবে আহত হয়।
বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ তরিকুল ইসলাম জানান, ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। দূর্ঘটনার পর থেকে ঘাতক বাস চালক পলাতক রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন র য়ণগঞ জ কল জ দ র ঘটন উপজ ল র এল ক র আফস ন
এছাড়াও পড়ুন:
উইম্বলডনে কেন ‘ভূমিকম্প’
এবার উইম্বলডনের শুরুতেই আলোচনায় ‘ভূকম্পন’। না, খেলার সময় কোর্টের মাটি বা স্থাপনা কেঁপে ওঠেনি। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় রাউন্ডে যে ধরনের ফল হয়েছে, তাতে টেনিস–বিশ্বে ভূকম্পনই অনুভূত হয়েছে। দ্বিতীয় রাউন্ডের মধ্যেই (একটি ম্যাচ শুক্রবার পর্যন্ত স্থগিত) বাদ পড়ে গেছেন ৩৬ বাছাই খেলোয়াড়। যা টেনিসে নতুন রেকর্ড।
এর আগে তৃতীয় রাউন্ডের আগে সর্বোচ্চ ৩৫ বাছাই বাদ পড়েছিলেন ২০২০ ফ্রেঞ্চ ওপেনে। এবারের উইম্বলডনে দ্বিতীয় রাউন্ডের ভেতরেই বিদায় নিয়েছেন গত মাসে ফ্রেঞ্চ ওপেনের চ্যাম্পিয়ন কোকো গফ ও ছেলেদের তৃতীয় বাছাই আলেক্সান্ডার জভেরভ। শুধু প্রথম রাউন্ড থেকেই বাদ পড়েছেন শীর্ষ ১০ বাছাইয়ের আটজন। যা ১৯৬৮ সালে টেনিসে উন্মুক্ত যুগ শুরুর পর সবচেয়ে বেশি।
অবাক করার মতো তথ্য আছে আরও। মেয়েদের শীর্ষ ৫ বাছাইয়ের মধ্যে তৃতীয় রাউন্ডে জায়গা করতে পেরেছেন শুধু র্যাঙ্কিংয়ের ১ নম্বরে থাকা আরিয়ানা সাবালেঙ্কা, উন্মুক্ত যুগে এমনটা ঘটল মাত্র দ্বিতীয়বার। প্রশ্ন হচ্ছে, এবারের উইম্বলডনে এত বেশি ‘তারকা-পতন’ কেন?
বিবিসি এর কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে। যেখানে উঠে এসেছে অন্তত পাঁচটি কারণ।
আরও পড়ুনজোকোভিচের সামনে ‘সেঞ্চুরির’ হাতছানি২০ ঘণ্টা আগেঅস্বাভাবিক আবহাওয়াএবারের উইম্বলডনে খেলোয়াড়দের লড়তে হচ্ছে চরম গরমের সঙ্গেও। উইম্বলডনের ইতিহাসে এবারই প্রথম উদ্বোধনী দিনে সবচেয়ে বেশি গরম রেকর্ড করা হয়েছে—সোমবার ও মঙ্গলবার তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল। খেলোয়াড়দের বরফের প্যাক, ঠান্ডা তোয়ালে ও প্রচুর পানি দেওয়া হয়েছে পরিস্থিতি সহনশীল করার জন্য। তবু কেউ কেউ শারীরিক অসুস্থতা ও ক্লান্তির কথা জানিয়েছেন। ব্রিটিশ ক্যামেরন নরি যেমন বলেছেন, আবহাওয়া ‘শরীরের জন্য একধরনের ধাক্কা ছিল’।
গরমে ভুগছেন খেলোয়াড়েরা