‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নিয়ে ‘পেশাগত দায়িত্ব ও কর্তব্য’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‎সোমবার (১৮ মে) সকালে একাডেমিক ভবন-২ এর ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে অনুষ্ঠিত কর্মশালার দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো.

শওকাত আলী।

‎এ সময় তিনি বলেন, “বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে আদর্শ বিদ্যাপীঠ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এই প্রতিষ্ঠানের সব স্তর থেকে অবদান রাখা জরুরি। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব-কর্তব্য পালনের মাধ্যমে এই অবদান রাখতে হবে। সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালন করলে বিশ্ববিদ্যালয় সমৃদ্ধ হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ গতিশীলতা এবং স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে ডিজিট্যাল অ্যাটেনডেন্স ও ফাইল ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু করা হয়েছে।”

অন্যদের মাঝে ‎কর্মশালায় ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেলের (আইকিউএসি) পরিচালক অধ্যাপক মো. তাজুল ইসলাম এবং রিসোর্স পার্সন হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. হারুন-অর রশিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক একেএম আমজাদ হোসেন বক্তব্য প্রদান করেন।

‎এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইকিউএসি অতিরিক্ত পরিচালক মো. আব্দুল লতিফ ও মো. আব্দুর রকিব। 

ইকিউএসি এর উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী কর্মশালায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

ঢাকা/‎সাজ্জাদ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে নৌপরিবহন উপদেষ্টাকে অবাঞ্ছিতের ঘোষণায় শোকজ, পরে ক্ষমা প্রার্থনা

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে চট্টগ্রাম বন্দরে অবাঞ্ছিত করার ঘোষণা দেওয়ার পর ক্ষমা চেয়েছেন সাবেক সিবিএ নেতা হুমায়ুন কবীর। 

নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ হয়ে গত ২৮ জুন চট্টগ্রাম বন্দর অকশন শেড সংলগ্ন শ্রমিক দলের কার্যালয়ে এক কর্মীসভায় ওই সাবেক সিবিএ নেতা উপদেষ্টাকে নিয়ে এমন অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেন। তবে পরে এমন বক্তব্য ভুলবশত, অনিচ্ছাকৃত এবং অজ্ঞতাবশত বলে উল্লেখ করেন তিনি। এমন অসৌজন্যমূলক বক্তব্য প্রত্যাহার করে উপদেষ্টার কাছে এক কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন হুমায়ুন কবীর। 

ওই সাবেক সিবিএ নেতার এমন বক্তব্যের কারণ জানতে চেয়ে গত ১ জুলাই  কারণ দর্শানো নোটিশ ইস্যু করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে তাকে এর উত্তর জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে নোটিশের জবাবে হুমায়ুন কবীর ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

মো. হুমায়ুন কবীর চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ও পরিদর্শন বিভাগের সুপারিন্টেনডেন্ট অডিট হিসেবে কর্মরত। তিনি চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের (সাবেক সিবিএ) প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক। এনসিটি বিদেশিদের কাছে ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তার নেতৃত্বে দীর্ঘদিন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল। সর্বশেষ এক কর্মসূচিতে উপদেষ্টাকে নিয়ে বক্তব্যের মাধ্যমে নতুন করে আলোচনায় আসেন তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ