বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ইউজিসি-ম্যাকগিল পিএইচডি স্কলারশিপ প্রোগ্রামে আবেদন আহ্বান করেছে। পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জন্য চার বছর পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে।

যেসব বিষয়ে আর্থিক সুবিধা দেবে
ইউজিসি-ম্যাকগিল ফেলোরা নানা আর্থিক সুবিধা পাবেন।
১.

জীবনযাত্রার ব্যয়ের জন্য বার্ষিক ১৫ হাজার কানাডিয়ান ডলার।
২. স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রার বিমা পরিকল্পনা জন্য প্রায় ১ হাজার ১০০ কানাডিয়ান ডলার।
৩. বেতন থেকে বার্ষিক সহায়তা প্রায় ৯ হাজার ৮০০ কানাডিয়ান ডলার।
৪. প্রত্যাবর্তন বিমানভাড়া (প্রায় ৩,০০০ কানাডিয়ান ডলার)।
৫. ম্যাকগিল প্রতিবছর কুইবেক উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত শিক্ষার সম্পূর্ণ খরচ (বার্ষিক ২০ হাজার ২১৪ কানাডিয়ান ডলার) বহন করবেন, স্বাস্থ্যবিমা ব্যতীত।

আরও পড়ুনসৌদি আরব সরকারের বৃত্তি, স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির জন্য আবেদনের সুযোগ১২ মে ২০২৫আরও পড়ুনথাইল্যান্ডের এআইটি স্কলারশিপে উচ্চশিক্ষার সুযোগ, জেনে নিন সব তথ্য০৪ মে ২০২৫

দরকারি তথ্য
১. প্রার্থীরা ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরাসরি তাঁদের পছন্দের ম্যাকগিল ডক্টরাল প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীদের জানুয়ারি (শীতকালীন) সেশনের জন্য ১ আগস্টের আগে এবং সেপ্টেম্বর (শরৎকালীন) সেশনের জন্য ১৫ জানুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে হবে। প্রার্থীরা তাঁদের আবেদনপত্রে উল্লেখ করতে পারবেন যে তাঁরা ইউজিসি-ম্যাকগিল ফেলোশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে আবেদন করছেন।
২. ইউজিসি-ম্যাকগিল পিএইচডি স্কলারশিপ প্রোগ্রামের বিস্তারিত তথ্য নিজ দায়িত্বে ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
৩. এ স্কলারশিপ প্রোগ্রামের আবেদন সম্পূর্ণ করার জন্য নিচের ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন।
৪. আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ: ১১ জুন ২০২৫ । এ তারিখের আগে ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব পোর্টালে পৌঁছাতে হবে।
* বিস্তারিত আরও তথ্য জানতে ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারতে পারেন আগ্রহী প্রার্থীরা।

আরও পড়ুন৬০০ বৃত্তির সুযোগ গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপে, জেনে নিন বিস্তারিত২১ এপ্রিল ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর থ ক স ব ধ প এইচড র জন য ইউজ স

এছাড়াও পড়ুন:

প্রকাশিত প্রতিবেদন বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা ও প্রতিবাদ

সমকালের বিনোদন পাতায় রোববার প্রকাশিত ‘চলচ্চিত্রের অনুদান নিয়ে তামাশা!’ শীর্ষক প্রতিবেদনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। 

প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, ‘‘সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘যারা অনুদান দেবেন, তারাই এবার নিয়েছেন অনুদান।’ অনুদান কমিটির স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। উল্লিখিত বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা হলো, ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য/স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা, ২০২৫’ মেনেই অনুদানের জন্য চলচ্চিত্র নির্বাচন করা হয়েছে। এই নীতিমালার আলোকে গঠিত ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বাছাই ও তত্ত্বাবধান কমিটি’ এবং ‘স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বাছাই ও তত্ত্বাবধান কমিটি’ সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণের আবেদন যাচাই-বাছাইপূর্বক সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুত করে।’’ 

এতে আরও বলা হয়, ‘‘এই দুই কমিটি ছিল ১১ সদস্যবিশিষ্ট, যেখানে চলচ্চিত্র সম্পর্কে অভিজ্ঞ পাঁচজন ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। চলচ্চিত্র বাছাই ও তত্ত্বাবধান কমিটি কর্তৃক বাছাইকৃত গল্প/চিত্রনাট্য এবং আবেদন অনুদান কমিটি মূল্যায়ন করেছে। নীতিমালা অনুযায়ী, অনুদান প্রদানের জন্য পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্বাচনের লক্ষ্যে দুটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়। উভয় কমিটি ছিল ৯ সদস্যবিশিষ্ট, যেখানে চলচ্চিত্র বিষয়ে অভিজ্ঞ চারজন ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। কমিটির প্রত্যেক সদস্য অনুদানের জন্য আবেদনকৃত চলচ্চিত্রের গল্প/চিত্রনাট্য মূল্যায়ন করে আলাদাভাবে নম্বর প্রদান করেছেন। কমিটির সব সদস্যের মূল্যায়নকৃত নম্বরের যোগফলের ভিত্তিতে অনুদানের জন্য চলচ্চিত্র বাছাই করা হয়। অনুদান কমিটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার সঙ্গে অনুদানের জন্য চলচ্চিত্র বাছাই করেছে।’’

প্রতিবাদপত্রে বলা হয়, ‘‘সিনেমা নির্মাণের জন্য অনুদানপ্রাপ্ত মো. আবিদ মল্লিক চলচ্চিত্র অনুদান উপকমিটির সদস্য।’ এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হলো, পূর্ণদৈর্ঘ্য/স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা, ২০২৫-এ ‘চলচ্চিত্র অনুদান উপকমিটি’ নামে কোনো কমিটি নেই। সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘তথ্য মন্ত্রণালয় সংস্কারে সার্চ কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাইদুল আলম খান (অনুদানের জন্য মনোনীত চলচ্চিত্রের প্রযোজক)।’ বিষয়টিতে মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হলো, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের গঠিত সার্চ কমিটির মেয়াদ কয়েক মাস আগেই শেষ হয়েছে।’’ 

‘‘চলচ্চিত্রবিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি এবং চলচ্চিত্র অনুদান স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন সাদিয়া খালিদ রীতি (অনুদানের জন্য মনোনীত চলচ্চিত্রের প্রযোজক)।’ এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হলো, সাদিয়া খালিদ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদানের জন্য আবেদন করেছিলেন। তিনি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বাছাই ও তত্ত্বাবধান কমিটিতে ছিলেন না। তিনি ছিলেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বাছাই ও তত্ত্বাবধান কমিটির সদস্য। তার ক্ষেত্রে স্বার্থের সংঘাতের বিষয়টি প্রযোজ্য হবে না। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অন্য কোনো কমিটির সদস্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন না—এমন কোনো বিষয় ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য/স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদান প্রদান নীতিমালা, ২০২৫’-এর কোথাও উল্লেখ নেই।’ সংবাদে অন্য যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলোও ভিত্তিহীন।’’

প্রতিবেদকের বক্তব্য

‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সংস্কার রোডম্যাপের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি ও অনুদান কমিটি থেকে পদত্যাগকারী অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মমসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এতে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোনো বক্তব্য নেই। তবে প্রতিবেদনে সিনেমা নির্মাণের জন্য অনুদানপ্রাপ্ত মো. আবিদ মল্লিককে চলচ্চিত্র ‘অনুদান উপকমিটির সদস্য’ বলা হয়েছে, যা সঠিক ছিল না।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রকাশিত প্রতিবেদন বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা ও প্রতিবাদ
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (৬ জুলাই ২০২৫)
  • জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় নিয়ে কিছু নিরীহ প্রশ্ন
  • বাঘ রক্ষায় ঢাকায় দৌড়ের আয়োজন, অংশ নিতে করতে হবে নিবন্ধন
  • উইন্ডোজ ফায়ারওয়াল ত্রুটির বার্তা নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শ মাইক্রোসফটের
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির সুযোগ
  • জাপানে উচ্চশিক্ষা সুযোগ: যাত্রা কোথা থেকে কীভাবে শুরু করবেন?
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (৫ জুলাই ২০২৫)
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (৪ জুলাই ২০২৫)
  • ‘মোনাশ কলেজ গ্র্যাজুয়েশন কনভোকেশন-২০২৫’ আয়োজন করল ইউসিবিডি